চলতি মৌসুমে পুরোটা সময় ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে আছেন ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা। আর দিন কয়েক আগেই ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন রাফায়েল ভারানে। এই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে বিশ্বকাপের দলে পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, শতভাগ ফিট হলেই তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাবেন তারা।
প্রিমিয়ার লিগে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে অ্যাঙ্কেলের চোটে পড়েন ভারানে। এরপরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বকাপের আগে ভারানের মাঠে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এর পর থেকেই ভারানেকে বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। এর আগে মৌসুমের শুরুতে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার আগ থেকেই ইনজুরিতে ছিলেন পল পগবা। বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না, এমন শঙ্কা থাকায় প্রথমে অস্ত্রোপচার করানোর পক্ষে ছিলেন না তিনি।
পরিস্থিতি বিবেচনাতে অবশ্য পরে অস্ত্রোপচারের টেবিলে গিয়েছিলেন। এরপরেই জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের আগে আলেগ্রির মাঠে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এমনকি ইনজুরি কাটিয়ে খুব শিগগির মাঠে ফিরবেন এমন কোনো সম্ভাবনাও নেই। কারণ, বিশ্বকাপ শুরুর এক মাসেরও কম সময় বাকি থাকলেও এখনো অনুশীলন শুরু করেননি পল পগবা।
এই দুই ক্রিকেটারের ইনজুরি নিয়ে কথা বলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তিনি বলেন, “আমি যা বলেছি তা স্পষ্ট এবং পরিষ্কার। আমি কখনোই বড় কোনো প্রতিযোগিতায় চোটে আক্রান্ত খেলোয়াড়দের দলে রাখিনি। একটি বিষয় নিশ্চিত করে দিতে চাই, আমি এমন কোনো খেলোয়াড়কে দলে রাখব না যে বিশ্বকাপের শুরু থেকে খেলতে পারবে না। আমাদের অবশ্যই ফিট এবং খেলতে পারবে এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে কাতারে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পলের (পগবা) ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হলো প্রতিযোগিতা (বিশ্বকাপ) শুরুর আগে তাকে যতটা সম্ভব খেলতে হবে। আমি এটা বলছি কারণ, অন্যদের তুলনায় তার (ম্যাচ খেলার) ঘাটতি আছে। রাফায়েলকে (ভারানে) নিয়ে বললে, তার সমস্যা কিছুটা কম। কারণ, তার পেশির চোট।”