বিশ্ব স্প্রিন্টে সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা হয়েও ক্রিকেটের প্রতি দূর্বল উসাইন বোল্ট। কারণ, তার দেশ জ্যামাইকা থেকে জর্জ হেডলি, অ্যালান রে, আলফ ভ্যালেন্টাইন, কলি স্মিথ, লরেন্স রো, মাইকেল হোল্ডিং, জেফ ডুজন, কোর্টনি ওয়ালশ, প্যাট্রিক প্যাটারসন, জিমি অ্যাডামস, ক্রিস গেইলের মতো নন্দিত ক্রিকেট তারকারা বিভিন্ন সময়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হয়েছেন এই বোল্ট। এই সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত অলিম্পিকে আটবারের স্বর্ণপদক জয়ী কিংবদন্তি স্প্রিন্টার। তার বিশ্বাস, সারা বিশ্বে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
বিশ্বকাপের জন্য বোল্টকে দূত করার কথা বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।
টুর্নামেন্টটি বোল্টের জন্য বিশেষ এক মঞ্চ হতে যাচ্ছে। জ্যামাইকার ক্যারিবিয়ান দ্বীপে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলেই বড় হয়েছেন তিনি। স্কুলে তার ক্রিকেট কোচের আগ্রহে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টগুলোতে চেষ্টা করার পরই তিনি মনোযোগ দেন অ্যাথলেটিক্সে। পরে হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা। গড়েন অবিশ্বাস্য সব রেকর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহাতারকা ক্রিস গেইলের দীর্ঘদিনের বন্ধু বোল্ট আগামী ১ জুন শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন।
৩৭ বছর বয়সী বোল্ট বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হওয়ায় আমি রোমাঞ্চিত। ক্যারিবিয়ান থেকে আমার উঠে আসা, যেখানে ক্রিকেট জীবনের একটা অংশ, খেলাটি সবসময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। মর্যাদাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি আমি। বিশ্বকাপে শক্তি ও উদ্যম নিয়ে কাজ করতে এবং সারা বিশ্বে খেলাটির উন্নয়নে অবদান রাখতে মুখিয়ে আছি।’
২০২৮ সালের অলিম্পিকে ফিরবে ক্রিকেট। এতে দারুণ উচ্ছ্বসিত বোল্ট।
‘চেষ্টা থাকে প্রতিটি খেলা যাতে অলিম্পিকে যেতে পারে। কারণ, অলিম্পিক মঞ্চে একটি সোনার পদক জিততে পারাটা দারুণ অনুভূতি।’