ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইউরোপা লিগ খেলা চূড়ান্ত হওয়ার পর দল ছাড়তে মরিয়া ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বহু চেষ্টার পরও রেড ডেভিলদের ডেরা ছাড়তে পারেননি। বাধ্য হয়েই খেলতে হচ্ছে ইউরোপা লিগ। ইউরোপের দ্বিতীয় সারির এই টুর্নামেন্টে রোনালদোর ফেরার ম্যাচে হেরেছে তার দল।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়াদাদকে আতিথ্য দেয় ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে ইউরোপা মিশনে মাঠে নামে ইংলিশ ক্লাবটি।
এদিন ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের ৫ম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল এই পর্তুগিজ সুপারস্টারের সামনে। ক্যাসেমিরোর পাস থেকে পাওয়া বল জালে জড়াতে পারেননি। প্রথমার্ধে ১৪ ও ১৭তম মিনিটেও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ ছিলেন।
বারবার সুযোগ পেয়েও বল জালে জড়াতে না পারায় নিজের ওপর বেশ কয়েকবারই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন রোনালদো। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল মিসের একই ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন।
দুই দলই একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুই দলের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন। রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রাখলেও কোনোভাবেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না দুই দল।
ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ডি-বক্সে ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হ্যান্ডবল করেন ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন রিক্রুট লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। ডি-বক্সে তার এই ভুলে পেনাল্টি পায় রিয়াল সোসিয়াদাদ।
স্পট কিকে পাওয়া সুযোগ মিস করেননি সোসিয়াদাদের ফরোয়ার্ড ব্রাইস মেন্ডেস। ডান দিকে নেওয়া শট ঝাঁপ দিয়েও আটকাতে পারেননি ডেভিড ডি গিয়া। গোল হজম করে প্রতিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ইউনাইটেড। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোল করতে পারেননি এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
এই ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ দুই দশক পর ইউরোপা লিগে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। সর্বশেষ ২০০২-০৩ মৌসুমে শৈশবের ক্লাব এফসি পোর্তোর হয়ে ইউরোপা লিগে খেলেছিলেন রোনালদো। দুই যুগ পর ইউরোপের দ্বিতীয় সারির টুর্নামেন্টের ফেরাটা তার জন্য মোটেও সুখকর হলো না। নিজে একের পর এক বাজে মিস করেছেন। সঙ্গে দলও জয় পেতে ছিল ব্যর্থ।