দুই দল একাধিক আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামার মাত্র আড়াই মিনিটের মাথায় ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দেন জ্যাক গ্রিলিশ। তবে পিছিয়ে পড়ে যেন আরও হিংস্র বাঘ হয়ে উঠলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে সিটির জালে বল পাঠালো দুইবার।ইউনাইটেডের হয়ে সমতাসূচক গোল করেছেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। আর জয়সূচক গোলটি এসেছে মার্কাস র্যাশফোর্ডের পা থেকে। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সিটির বিপক্ষে ডার্বি ম্যাচে ২-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে রেড ডেভিলরা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিক ইউনাইটেড। ম্যাচের ১০ম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের পাস থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশ হতে হয় ইউনাইটেড শিবিরকে।
৩৪তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় ইউনাইটেডের। বল নিয়ে আগোয়ান র্যাশফোর্ডকে ঠেকাতে এগিয়ে এসেছিলেন সিটির গোলরক্ষক। তবে তাকেও পাশ কাটিয়ে শট নিয়েছিলেন র্যাশফোর্ড কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন
ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেছিল সিটির খেলোয়াড়রা। তবে সেই আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।
৫৭তম মিনিটে গ্রিলিশ বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই যেন জাদুকরের মতো লিড এনে দেন সিটিকেস। ডান থেকে সতীর্থ ডি ব্রুইনার ক্রসে লাফিয়ে দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ ফুটবলার।
গোল হজম করতে ইউনাইটেডের প্রয়োজন হয়েছে ২১ মিনিট। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে র্যাশফোর্ডের উদ্দেশ্যে পাস দিয়েছিলেন ইউনাইটেডের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার কাসেমিরো।
তবে অফসাইড থাকায় র্যাশফোর্ড বল স্পর্শ করেননি, সেই বলে ছুটে গিয়ে গোলার মতো শট লক্ষ্যভেদ করেন ফার্নান্দেজ। শুরতেই লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা ওঠালেও ভিএআরে দেখে গোলের বাঁশি দেন রেফারি।
সমতায় ফিরতে না ফিরতেই জয়সূচক গোলেরও দেখা পায় ইউনাইটেড। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন র্যাশফোর্ড।
সিটির গোলপোস্টে ইউনাইটেড ফুটবলার আলেজান্দ্র গারনাচোর শট প্রতিহত হয়ে ফেরার পর আবার বল পেয়ে গারনাচোই পাস দেন র্যাশফোর্ডে। দুর্দান্ত স্লাইড শটে লক্ষ্যচভেদ করেন র্যাশফোর্ড।
ম্যাচের বাকি সময় এই লিড ধরে রেখে জয় তুলে নিয়েছে ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে লিগে সিটির বিপক্ষে টানা তিন হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল ইউনাইটেড।
এই জয়ে ১৮ ম্যাচে মোট ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে তৃতীয় হারের স্বাদ পাওয়া সিটির অবস্থান দুই নম্বরে। অন্যদিকে ১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।