বিশ্বকাপ শুরুর আগেই সেনেগাল দলে হানা দিয়েছিল চোট। ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছিলেন সাদিও মানে। তার বিদায়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় দেখেছিলেন অনেকেই। এমনটাই করেন বিশ্বকাপে দলটির অধিনায়ক কালিদৌ কৌলিবালি। তিনি জানান, দুই-তৃতীয়াংশ ফুটবল সমর্থকদের ধারণা ছিল আমরা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারব না।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে সেনেগাল। শেষ ষোলো নিশ্চিতের পর কৌলিবালি বলেন, “সম্ভবত পৃথিবী দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থকদের ধারণা ছিল সাদিওর (মানে) ইনজুরির পর আমরা শেষ ষোলোতে যেতে পারব না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ আমরা একটা পরিবার, দারুণ একটি দল। আমরা অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস রাখি, আমরা সেনেগালের ফুটবল ইতিহাস নতুন করে লিখতে পারবো।”
ইকুয়েডরের বিপক্ষে কৌলিবালির গোলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় সেনেগালের। এটাই ছিল কৌলিবালি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাদিও মানের পাওয়া ক্ষুদে বার্তাই বাড়িয়ে দিয়েছিল তার গোলের ক্ষুধা।
কৌলিবালি বলেন, “ম্যাচ শুরুর আগে ক্ষুদে বার্তা দিয়েছিল মানে। সেখানে লেখা ছিল, ‘শুভ কামনা।’ এটাই আমাদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম গোলটি সেনেগালের কিংবদন্তি ফুটবলার পাপা দিওপকে উৎসর্গ করেন কৌলিবালি। মঙ্গলবার ছিল এই ফুটবলারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।
গোল উৎসর্গ করে কৌলিবালি বলেন, “আমরা তাকে গর্বিত করতে চেয়েছি। সে আমাদের সকল ফুটবলারের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এছাড়াও পুরো সেনেগালকে আমরা গর্বিত করতে চাই।”