২০২৩ সালের আগস্ট মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত তিনজনের তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। যেখানে পাকিস্তানের দু’জন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন সুযোগ পেয়েছেন। পাকিস্তানের দু’জন হলেন- অধিনায়ক বাবর আজম ও সহ অধিনায়ক শাদাব খান। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন হলেন নিকোলাস পুরান।
দুই ক্যাটাগরিতে (নারী ও পুরুষ) মনোনীতরা শর্টলিস্টেড হন এক মাসে অন-ফিল্ডে তাদের পারফরম্যান্স ও মাসে তাদের অর্জন দিয়ে। মনোনীতরা আইসিসির স্বাধীন ভোটিং অ্যাকাডেমি ও বিশ্বজুড়ে সমর্থকদের ভোট পান। সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া ক্রিকেটার হন আইসিসি ক্রিকেটার অব দ্য মান্থ। ভোটিং অ্যাকাডেমি তাদের ভোট দেন ই-মেইলের মাধ্যমে, ভোটের ৯০ শতাংশ নির্ধারিত হয় তাদের ভোটের মাধ্যমে। বাকি ১০ শতাংশ থাকে সমর্থকদের আওতায়।
দু’বার আইসিসির মাস সেরার পুরস্কার ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তিনি ওয়ানডে ব্যাটারদের নাম্বার ওয়ান ক্রিকেটারও। তার তৃতীয় পুরস্কার পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। তিনি গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দুটি ফিফটি করেছেন। এছাড়াও এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে খেলেছেন ১৫১ রানের ইনিংস। সঙ্গে গড়েছেন দারুণ কীর্তি। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তিনি।
২২ গজে ব্যাট-বল হাতে আগস্ট মাসে দুর্দান্ত ছিলেন শাদাব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে ২০১ রানের লড়াই করার পুঁজি এনে দিয়েছিলেন তিনি। বল হাতে এক ওভারে ১ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এক উইকেটের জয়ে তিনি ৩৫ বলে ৪৮ রান করেন। শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে নেন ৪২ রানে ৩ উইকেট।
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে তিনি নেন ২৭ রানে ৪ উইকেট। সবমিলে ৪ ম্যাচ খেলে তিনি ৮ উইকেট তার ঝুলিতে আসে।
ছয় বছর পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পুরান। ওই সিরিজে বাজিমাত করেন পুরান। তিনি প্রথম ম্যাচে ৩৪ বলে ৪১, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪০ বলে ৬৭, তৃতীয় ম্যাচে ২০ এবং শেষ ম্যাচে ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। সেটাই তাকে মাস সেরার তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে। তবে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ ভারত তাদের ঘরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।