কোবি ব্রায়ান্ট, মাইকেল জর্ডান, করিম আব্দুল জব্বাররা যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবলকে নিয়ে গিয়েছেন সাধারণের খুব কাছে। বর্তমানে সেই কিংবদন্তির জায়গা পূরণ করছেন লেব্রন জেমস, স্টেফ কারির মতো তারকারা। তবে লেব্রন জেমসের কদরটাই বাকিদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। লস অ্যাঞ্জেলস লেকার্সের এই তারকার কাছে কদর বেশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী কমলা হ্যারিসের।
পুরো বিশ্বের চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই বিতর্কে মেতেছে সারা দুনিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে লেব্রন জেমসই বা বসে থাকেন কি করে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিনে টুইটারে কমলা হ্যারিসের পক্ষে শক্ত এক পোস্টই দিয়েছেন জেমস।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার এমনিই খুব একটা সখ্যতা নেই। ২০১৭ সালে ট্রাম্পকে সরাসরি ‘অলস প্রেসিডেন্ট’ বলেছিলেন বাস্কেটবলের এই কিংবদন্তি। ২০১৬ আর ২০২০ সালেও ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীকেই দিয়েছিলেন ভোট। এবারও কথা বলেছেন কমলা হ্যারিসের পক্ষে।
লেব্রন জেমসের মতোই কমলা হ্যারিসের পক্ষে সামাজিক মাধ্যমে শক্ত প্রচারণা চালিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নারী ফুটবলার মেগান র্যাপিনো। ২০১৯ সালে নারীদের বিশ্বকাপ জেতার পর বেতনসাম্যের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। তার দাবিতেই পুরুষ এবং নারী ফুটবলারদের সমান বেতন দেওয়ার নিয়ম চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে র্যাপিনোর বিরোধ বেশ পুরাতন।
ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে দুই বারের বিশ্বকাপজয়ী র্যাপিনো লিখেছিলেন, ‘আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দিচ্ছি। কারণ আমি যৌথভাবে রাষ্ট্র গঠনের শক্তিতে বিশ্বাস করি। এভাবেই আমরা স্থায়ী পরিবর্তন আনতে পারি। আমি বিভিন্ন পন্থা এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে একটি লক্ষ্যের দিকে কাজ করেছি। এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করা এবং সবার জন্য অগ্রগতি নিশ্চিত করা সবসময় আমার কাছে মূল্যবান। আসুন সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’
অবশ্য ট্রাম্পের সমর্থন খুব একটা কম নেই। বিশেষ করে মিক্সড মার্শাল আর্টের ‘ইউএফসি’তে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্টের। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএফসির নিয়মিত দর্শক। সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের ডানা হোয়াইটের সঙ্গেও রয়েছে সুসম্পর্ক। যে কারণে ইউএফসি এবং যুক্তরাষ্ট্রে মার্শাল আর্টের জগতে ট্রাম্পের রয়েছে বাড়তি জনপ্রিয়তা।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দুই জনপ্রিয় স্পোর্টস ইভেন্ট এনএফএল (ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) এবং এনবিএ (ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন) এর জগতে কমলা হ্যারিসের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এনএফএল তারকা থমাস বুকার এবং তার দল ফিলাডেলফিয়া ঈগলস সরাসরি সমর্থন জানিয়েছে কমলা হ্যারিসকে। একইরকম সমর্থন দিয়েছেন মিলওয়াকি বাকস এর কোচ ডক রিভার।
তাদের এই সমর্থনকে বেশ বড় করেই দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকরা। দুই দলের সমর্থন ভোটের বাক্সে কমলা হ্যারিসকে এগিয়ে রাখতে প্রভাব ফেলবে এমনটাই বিশ্বাস অনেকেরই।
যুক্তরাষ্ট্রে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হবে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আর এই ভোটের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস কিংবা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প— যিনিই বিজয়ী হোন— দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে এই নির্বাচনে। যেখানে বাংলাদেশেরও স্বার্থ রয়েছে।