বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে মোনেম মুন্না এক নক্ষত্রের নাম। এই নক্ষত্রের আজ চলে যাওয়ার ১৮ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার মোনেম মুন্না পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে ‘কিংব্যাক’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে স্ত্রী সুরভী মোনেম এবং তাদের দুই সন্তান পুত্র আজমান সালিদ এবং এক কন্যা ইউসরা রয়েছেন। আজ একই সাথে মুন্না-সুরভীর বিবাহ বার্ষিকীও।
১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মুন্নার। তার অধীনায়কত্বে প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছে জাতীয় ফুটবল দল। মায়ানমারে আয়োজিয় সেই চার জাতি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন জার্মানির বিশ্বখ্যাত অটো ফিস্টার।
এছাড়া তার অধীনে ১৯৯৫ সাফ গেমসে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেন মুন্না। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর, অতিমাত্রায় অসুস্থতা তাকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল।
বাংলাদেশে সেই সময় মোনেম মুন্নাকে ছাড়া জাতীয় দল হোক বা আবাহনী ক্লাবের একাদশ কল্পনাই করা যেত না। এমনকি প্রচণ্ড জর এবং ব্যথা নিয়েও খেলতে হয়েছে তাকে। একই ম্যাচে দুইবার ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন এমন ঘটনাও আছে।
কিন্তু ওই জর শুধুই জর ছিল না সেটা বুঝতে সময় লেগেছে। আসতে আসতে কিডনিটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল সেটাই বুঝতে পারেননি মুন্না। ফলে অকালেই দেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে হারিয়ে ফেলতে হয়েছিল। তার মৃত্যুর তিন বছর পর ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।