বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটারই টি-টোয়েন্টির মূলমর্মটা বোঝেন না। এখানে ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট কমপক্ষে ১২০ হওয়া দরকার, ১৪০ থেকে ১৫০ হলে বেশি ভালো হয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাংলাদেশ ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও বেশিরভাগ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১০০ বা তার কিছু কম-বেশি।
ওয়ানডের সঙ্গে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তফাৎ কি করতে পারে না? রোববার ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট করেই ‘না’ বলে দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তিনি নিজেই টেনে এনেছেন স্ট্রাইক রেট প্রসঙ্গ। আসলে তাকে প্রশ্নটা করা হয়েছিল ওই স্ট্রাইক রেটকে কেন্দ্র করেই। তিনি সেটা বুঝে উত্তরও দিয়েছেন স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
শান্ত সহ জাতীয় দলের অনেকেরই স্ট্রাইক রেট খুবই বাজে, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য মানানসই নয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজেই পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৮৬ রান শান্ত নিজেই। সেটাও ১০৩.৮৪ স্ট্রাইক রেটে।
তিনি স্ট্রাইক রেটকে সামনে নিয়ে প্রশ্ন করায় খুশি হননি। শান্ত বলেন, ‘আমাদের দেশে স্ট্রাইক রেট নিয়ে অনেক কথা হয়। স্ট্রাইক রেট, স্ট্রাইক রেট...কিন্তু জিনিসটা হলো যে, আপনি যদি চিন্তা করেন আমরা সম্প্রতি ভালো উইকেটে খেলা শুরু করেছি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো উইকেটে খেলেছি। কিন্তু এই জিনিসটার (স্টাইক রেট) জন্য সময় দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি লম্বা সময় ধরে ভালো উইকেটে খেলার শুরু করি, ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর তারপর আপনি দেখবেন প্রত্যেকটা ব্যাটার ভালো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করছে। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই নয়, বিপিএলেও ভালো উইকেটে খেলতে হবে। তারপর পার্থক্যটা দেখতে পাবেন।’
আইপিএল প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আইপিএলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মেলানোই যাবে না। কিন্তু আন্তর্জাতিকে আমি যতটুকু জানি ১৬০ থেকে ১৭৫-১৮০, ২০০ রান যদি কোনো দল করে এটা খুব ভালো স্কোর।’