আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে।
চলতি বছর মার্চে সর্বশেষ ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও এর মাঝে আর মাত্র ৪টি ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেও ৪৭ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।
তবে শারজায় শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংসটাকে ফিফটির মাইফলক পার করালেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তবে সব ফরম্যাচ মিলিয়ে ১১তম ইনিংসে এসে ফিফটির দেখা পেলেন তিনি।
৭৫ বল মোকাবেলা করে ৪টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় অর্ধশত স্পর্শ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৬টি বাউন্ডারী ও ১টি ছক্কায় ৭৬ রান করে আউট হন শান্ত।
টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে বেশ ভালো সূচনাই করে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তারা দু’জন।
কিন্তু সেই আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারের রহস্যময় ঘূর্ণির রহস্যভেদ করতে পারলেন না তানজিদ তামিম। আগের বলটি ছিল ফুলটস। যে কারণে শট খেলেছিলেন তিনি। পরের বলটাও ফুলটসের মত ছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফুলটস হয়নি।
আগের বলের মতই শট খেলতে গিয়ে মিডঅনে আলতো করে ক্যাচটা তুলে দিলেন তামিম। হাত তুলে খাপ মেরেই ছিলেন যেন মোহাম্মদ নবি। ক্যাচ উঠতেই তালুবন্দী করে নিলেন তিনি।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকারের জুটিটা দারুণভাবে জমে উঠছিলো। কিন্তু সেটা ৬৭ রানের বেশি টিকলো না। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে লেগ বিফোর হয়ে গেলেন সৌম্য। ৪৯ বল মোকাবেলা করে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করে আউট হন সৌম্য।
শান্তর আউটের আগে মেহেদি হাসান মিরাজ ২২ ও তাওহীদ হৃদয় ১১ রান করে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান। নাসুম আহমেদ ৮ নম্বরে নেমে ২৪ বলে মূল্যবান ২৫ রান করেন। উইকেটকিপার জাকের আলি অনিক অভিষেক করতে নেমে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন। আর তাসকিন আহমেদ অপরাজিত ২ রান করেন।
আফগানিস্তানের খারট ৩টি এবং ঘজনফার ও রশিদ খান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৯২ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলে তারা সিরিজ নিশ্চিত করবে। আর সিরিজে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে।