ভারত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ একক আয়োজক দেশ। এরই মধ্যে দেশটিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটে বহুল জনপ্রিয় দেশ হিসেবে ভারতের পরিচিতি থাকলেও এবারের বিশ্বকাপের চিত্র ভিন্ন বিশ্বমঞ্চের ম্যাচগুলোতে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকখরা। বিশ্বকাপে দর্শক টানতে কর্তৃপক্ষের নাজেহাল অবস্থা। এবার আবার মরার উপরের খরার ঘা হয়ে এসেছে সন্ত্রাসবাদের হুমকি। ভারতের বিশ্বকাপ ভেন্যুই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবার।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, মুম্বাই শহরের পুলিশ বিভাগ বোমা হামলার হুমকি সম্বলিত একটি ই-মেইল পেয়েছে। মেইলে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মেইলে কারাবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণয়ের মুক্তির দাবির পাশাপাশি ৫০০ কোটি রুপিও চাওয়া হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, জাতীয় তদন্ত এজেন্সি (এনআইএ) ই–মেইলে প্রথম এই হুমকি পায়। সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাই পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে গুজরাট পুলিশের পাশাপাশি আরও কিছু নিরাপত্তা সংস্থাকে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করে দেয় এনআইএ। মুম্বাই পুলিশ এরই মধ্যেই শহরে নিরাপত্তা জোড়দার করেছে।
ইউরোপের কোন দেশ থেকেই এই হুমকি পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাতে লেখা, “৫০০ কোটি রুপি ও লরেন্স বিঞ্চয়কে সরকার আমাদের হাতে তুলে না দিলে নরেন্দ্র মোদি ও নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম আমরা উড়িয়ে দেব। ভারতে সবকিছুই বিক্রি হয়। তোমরা নিজেদের যতই সুরক্ষিত মনে করো, আমাদের হাত থেকে নিস্তার পাবে না। কথা বলার ইচ্ছা থাকলে ই–মেইল করো।“
এর আগে খালিস্তানপন্থি নেতা গুরপাওয়ান্ত সিং এর পক্ষ থেকেও বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এরইমাঝে মামলা করা হয়েছে। এমনকি এই হুমকির শঙ্কায় বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যগুলো থেকে জানা যায়।
লরেন্স বিষ্ণয় ২০১৪ সাল থেকে কারাগারে বন্দী আছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি নিজের সন্ত্রাসী দল পরিচালনা করেছেন কারাগারে বসেই। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মোসেওয়ালাকে হত্যার অভিযোগও আছে লরেন্স বিষ্ণয়ের উপর। এছাড়া, গত বছর মোসেওয়ালার ওপর হামলার দায় স্বীকার করে নেন বিষ্ণয়। বর্তমানে দিল্লির মান্দোলি কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।