আইপিএলের সপ্তদশ আসর রোববার শেষ হলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। এবারের আসরটি ছিল রান উৎসবের। দুইশ রানের স্কোর নিয়মিতই দেখা গেছে। রানার্সআপ দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এক ম্যাচে ২৮৭ রান করে ফেলায় প্রথমবার আইপিএলে তিনশ রান দেখা যাবে কিনা- সে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেটা হয়নি।
বোলারদের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড়ে বয়ে গেছে এবারের আসরে। ২০২৩ সালের আইপিএলে মোট বাউন্ডারি হয়েছিল ২ হাজার ১৭৪টি। এবারও ঠিক ২ হাজার ১৭৪টি বাউন্ডারিই হয়েছে! তবে ছক্কার রেকর্ডে এবারের আসর ছাড়িয়ে গেছে আগেরগুলোকে। এবার আইপিএল মোট ১ হাজার ২৬০টি ছক্কা হয়েছে, যা আগের রেকর্ডের চেয়ে ১৩৬টি বেশি। ২০২৩ সালে ৭৪টি ম্যাচে হয়েছিল ১ হাজার ১২৪টি ছক্কা।
এবারের আইপিএলে সেঞ্চুরির রেকর্ডও নতুন করে লেখা হয়েছে। মোট ১৪টি সেঞ্চুরি দেখা গেছে এবারের আসরে। জস বাটলার দুটি সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া একটি করে সেঞ্চুরি করেন উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, সূর্যকুমার যাদব, সাই সুদর্শন, শুভমান গিল, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, সুনিল নারাইন, রোহিত শর্মা, মার্কাস স্টইনিস, ট্র্যাভিস হেড, যশস্বী জয়সোয়াল এবং বিরাট কোহলি। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১২টি। আর কোনো আসরেই সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অংকে যেতে পারেনি।
শুধু তাই নয়, এবারের মৌসুমে মোট ৪১টি দুইশ বা ততোধিক রানের স্কোর দেখা গেছে, যা এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ আইপিএলে ২৩টি এমন স্কোর দেখা গিয়েছিল। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান বিরাট কোহলির। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটার ৬১.৭৫ গড় আর ১৫৪.৬৯ স্ট্রাইকরেটে মোট ৭৪১ রান করেছেন। ২০১৬ মৌসুমে ৯৭৩ রান করে কোহলি এখনও আইপিএলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরার।