৪ দশকের ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এবার বাংলাদেশের

ভারত তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ৯২ বছরের ইতিহাসে কানপুরে মোট খেলেছে ২৩টি ম্যাচ। তারমধ্যে তারা জিতেছে ৭টিতে, হেরেছে ৩টিতে, আর ড্র করেছে বাকি ১৩টিতে। কানপুরের সেই গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ভারত। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত এই মাঠে পরাজিত হয়নি। ফলে বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস বদলানোর সুযোগ রয়েছে।  

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ভারত কানপুরে যেন আরও বেশি শক্তিশালী। আর সেখানেই রোহিত শর্মাদের চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মোকাবিলা করবে নাজমুল হোসেন শান্তরা।  

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক স্থানীয় গণমাধ্যমের ভাষ্য, কানপুরে বাংলাদেশ টেস্টের কথা মাথায় রেখে ৩টি উইকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। সম্ভাবনা আছে খেলা হবে ৫ নম্বর উইকেটে। ক্রিকইনফো জানিয়েছে এই ম্যাচে পিচের ক্ষেত্রেও আসছে ভিন্নতা। চেন্নাইয়ের মতো লাল মাটির পিচে খেলা হচ্ছে না এবারে।

বাংলাদেশকে ভারত আটকাতে চায় নিজেদের চিরচেনা কালো মাটিতেই। যেখানে পেসারদের তুলনায় স্পিনাররাই ব্যাটারদের ওপর রাজত্ব করবেন। গ্রীন পার্কের পিচ চেন্নাইয়ের পৃষ্ঠের তুলনায় কিছুটা ফ্ল্যাট হবে এবং টেস্টের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাউন্সও কমবে।

বোঝাই যাচ্ছে, স্পিনারদের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে আটকানোর পূর্ববর্তী ছকেই ফিরতে চাইছে ভারত। ভারত ২০২১ সালে শেষবার কানপুরে টেস্ট আয়োজন করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতীয় দল অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষরের স্পিন ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নেমেছিল। ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত সহজ জয় পেলেও ২০২১ সালে কিউই ব্যাটাররা ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল।

সবমিলিয়ে ভারত এই মাঠে টেস্ট হারেনি ১৯৮৩ সালের পর থেকে। ওই বছর ভারত সফরে এসে স্বাগতিকদের কানপুরে হারিয়েছিল সেসময়ের ক্রিকেট পরাশক্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২১ সালের আগের তিন টেস্টেই আবার ভারত জয় পেয়েছিল এই মাঠে।

সেই হিসেবে বাংলাদেশের সামনেও সুযোগ থাকছে কানপুরে নতুন কিছু করে দেখানোর। কালো পিচের উইকেটে খেলেই মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও তাদেরকে হারানোর মতো প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামতে হবে শান্তদের। বিশেষ করে টাইগাররা নিজেরাই স্পিন নির্ভর দল হওয়াতে পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে থাকার আশা করা যেতেই পারে।

যদিও সেই স্বপ্নপূরণ করা বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই কষ্টের। চেন্নাই টেস্টই প্রমাণ করে দিয়েছে দুই দলের শক্তিমত্তার বিশাল পার্থক্য। যেখানে ভারত জেতে ২৮০ রানের ব্যবধানে।