• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
বিপিএল

ফাইনালের মঞ্চে লড়াই হবে তাদেরও


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৮:১৪ পিএম
ফাইনালের মঞ্চে লড়াই হবে তাদেরও

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। কুমিল্লার এর আগে তিনবার শিরোপা জিতলেও সিলেটের এটাই প্রথম বিপিএল ফাইনাল। ফাইনালের মঞ্চে দলীয় লড়াই ছাপিয়ে থাকবে কিছু ব্যক্তিগত লড়াইয়ের ঝাঁজও।

এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে ৩৭.৬৬ গড়ে ১৪ ম্যাচে ৪৫২ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৪২৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রংপুর রাইডার্সের রনি তালুকার নেই ফাইনালে।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে শান্তর প্রতিদ্বন্দ্বী তারই সতীর্থ তৌহিদ হৃদয়। সিলেটের এই তরুণ বাঁহাতি এবার  ৪০ গড় আর ১৪১ স্ট্রাইক রেটে ৪০৩ রান করেছেন। ফাইনালের মঞ্চে একই দলের দুজন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে থাকা তাদের দলের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।

নিজ দলের সতীর্থের সঙ্গে লড়াইকে দারুণ হেলদি কম্পিটেশন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন শান্ত। তবে নিজেদের পারফর্মেন্স নয় দলের জয়ের দিকেই বেশি মনোযোগ থাকবে বলে জানান তিনি। তবে ক্রিকেট প্রেমীরা ঠিকই তাকিয়ে থাকবে এই দুজনের ব্যক্তিগত লড়াইয়ের দিকেও।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের দৌড়ে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লিটন কুমার দাস। তবে এই ব্যাটারের সামর্থ্য সম্পর্কে নতুন করে কিছু লেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সিলেটের দেশীয় ব্যাটারদের সঙ্গে তার একটা লড়াই ঠিকই হতে পারে ফাইনালে।

তবে লিটন যদি ছন্দে থাকেন তাহলে শুধু হৃদয় বা শান্ত নয় সিলেট দলেরই কপাল খারাপ হতে পারে। এবারের আসরে ১২ ম্যাচে ৩২৪ রান এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে।

বিপিএলের চলতি আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হাসান মাহমুদ (১৭) অবশ্য ফাইনালের মঞ্চে থাকবেন না। তবে ফাইনালের মঞ্চে হাসানকে ছাপিয়ে যাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম।

এবারের আসরে ১১ ম্যাচ ১৬ উইকেট নিয়েছেন তানভীর। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৯৫ আর সেরা বোলিং ফিগার ৩৩ রানে চার উইকেট। তানভীরকে টেক্কা দিতে পারেন শুধুমাত্র সিলেটের রেজাউর রহমান রেজা। তবে তার জন্য কাজটা অনেকটা অসম্ভবই বটে, কারণ রাজার সংগ্রহ ১৩ উইকেট।

তবে আসল লড়াইটা হতে পারে দুই দলের বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে। এক্ষেত্রে কুমিল্লা এগিয়ে থাকবে যোজন যোজন। কুমিল্লার বিদেশিরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা এবং সিলেটের বিদেশিদের থেকে অভিজ্ঞতাতেও ঢের এগিয়ে।

Link copied!