সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রভম্যান পাওয়েল ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি সিরিজেও তিনি রয়েছেন নেতৃত্বে। আইপিএলের আগামী আসরে তিনি খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে। পাওয়েল ছাড়া আরও সাত-আটজন খেলোয়াড় রয়েছেন আইপিএলের বিভিন্ন দলে। শুধু এবারই নয়, আইপিএলের প্রতিটি আসরেই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার-বোলারদের চমক লেগেই থাকে।
এক অর্থে আইপিএল সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার সিরিজ জিতে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো, তাদের বহু খেলোয়াড়ই আইপিএলের তারকাদের চেয়ে দক্ষ।
কিংস্টনের সেন্ট ভিন্সে বুধবার বাংলাদেশ ২৭ রানের সহজ ব্যবধানে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করে। এর আগে, সোমবার একই মাঠে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জেতে ৭ রানে।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ বেশি রান না করলেও বোলাররা দেখিয়ে দিলেন, তাদের কাছে দুই বারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজও তুচ্ছ। ২০১২ ও ২০১৬ সালে বিশ্বকাপ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবং তাদের খেলোয়াড়রা বিশ্বে খুবই পরিচিত। সেই দলকে তাদেরই মাঠে সিরিজে হারিয়ে বাংলাদেশ এখন আরও উচ্চতায় যাওয়ার আশা করছে।
বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অনেকগুলো ক্যাচ মিস করেছে। তা না হলে ব্যবধান আরও বড় হতো। অথচ, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২৯ রানের মাঝারি মানের স্কোর করে। সেটা টপকাতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। বিশেষ করে পেসার তাসকিন আহমেদ যেভাবে ম্যাচের চেহারা বদলে দিলেন, তা বেশ প্রশংসনীয়। ৩.৩ ওভারে তিনি মাত্র ১৬ রানে নেন ৩টি উইকেট। স্পিনার মেহেদি হাসান ২০ রানে নেন ২টি উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেনও ২টি করে উইকেট লাভ করেন। বোলাররা প্রমাণ করলেন, বিশ্বের যে কোনো দলের ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দিতে প্রস্তুত তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান দলে রয়েছেন দক্ষ ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও জনসন চার্লস। রয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচারের মতো খ্যাতিমান উইকেটকিপার কাম ব্যাটার। মিডল অর্ডারে রয়েছেন আইপিএলের লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলের নিকোলাস পুরান, রস্টন চেজ, অধিনায়ক পাওয়েল এবং আইপিএলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরু দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ড। শেষের সারিতে রয়েছেন কৃতি স্পিন অলরাউন্ডার আকিল হোসেন। বোলার হিসেবে সারাবিশ্বে সুপরিচিত গুডাকেশ মোটি, আলজারি জোসেফ ও আইপিএলের লখনৌ সুপার জায়ান্টস দলের সামার জোসেফ।
সর্বশেষ আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশ দলের কাউকেই কোনো দল নেয়নি। নিলামেই তোলা হয়নি সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদের মতো সময়ের সেরা তারকাদের। সেই বাংলাদেশ দল আইপিএল সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলো।