একজন আর্চারি খেলার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন, তিনি কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল। খেলাটিতে বাংলাদেশ যাতে খ্যাতি পেতে পারে, সেই জন্য তিনি সাংগঠনিক কর্মকান্ড করেছেন। আরেকজন বিশ্বের নানা জায়গা থেকে পদক জিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ পারে, আমরাও পারি, আর্চারি হতে পারে দেশের সম্ভাবনাময় খেলা।’ তিনি রোমান সানা।
রোমানই বাংলাদেশের প্রথম আর্চার, যিনি সরাসরি অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেছিলেন। অথচ সেই রোমান ক্ষোভ ও হতাশায় জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন।
ফেডারেশন থেকে মৌখিকভাবে রোমানকে অবসর না নিতে বলা হয়েছে। রোমান অবশ্য ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার ব্যাপারে অনঢ়।
সম্প্রতি বিয়ে করেছেন সতীর্থ আর্চার দিয়া সিদ্দিকীকে। টঙ্গীতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।
বিশ্ব আর্চারী থেকে পদক জেতা রোমান মিডিয়ার কাছে বলেন, ‘একটু চোটের সমস্যা আছে। তবে এখন আর আসলে খেলতে ইচ্ছা করে না, ভালো লাগে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী অ্যাথলেট আমি। অথচ না পাইলাম কোনো জায়গা থেকে ভালো একটা অফার, না পাইলাম কোনো কিছু।’
তিনি বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৩ হাজার টাকা বেতন পাই। বাংলাদেশ আনসার থেকে পাই ২৫ হাজার টাকা। এ দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাই।
রোমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বারবার সবার সামনে আমাকে অপমান করা হবে, কেন? সাত-আট ঘণ্টা অনুশীলন করে মাসে তিন হাজার টাকা দেওয়া হতো। এটা বেতনও না। ধৌত ভাতা। এর চেয়ে রিকশা চালানো ভালো।’
আন্তর্জাতিক আর্চারি থেকে অবসরে যাওয়ায় তার ওপর খেলার চাপ কমে আসবে এখন। সময়টা কাজে লাগাতে চান কিছু ব্যবসা করে। তার বাবা-দাদারা মাছের ঘেরের ব্যবসা করেছেন। সেই ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা আছে রোমানের।