প্রথমার্ধে বল পায়ে দুই দলই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষণ দৃঢ়তায় কোনো দলই এগিয়ে যেতে পারেনি। বিরতিতে গোলশূন্য সমতায় ফিরতে হয়েছিল টানেলে। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ডেডলক ভেঙেছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন গাকপো। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেক ঢুকে দেন ড্যাভি ক্লাসেন। এতেই ২-০ গোলে বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন রাঙালো ডাচরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের মুখোমুখি হয় এক আসর পর বিশ্বকাপে ফেরা নেদারল্যান্ডস। শুরুতেই সেনেগালকে কর্ণার কিক উপহার দিয়ে ম্যাচ শুরু করে ডাচরা।
এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ অবশ্য প্রথম পেয়েছিল লুই ভন হালের শিষ্যরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডি বক্সে বারউইন ঝামেলা না পাকালে এগিয়ে যেত নেদারল্যান্ডস। ১৯তম মিনিটেও একই কাজ করেন ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। ডি-বক্সের বাইরে বল পেয়ে শট নিতে দেরি করেন। ফলে তার সামনে জটলা বাধিয়ে দেয় সেনেগালের ফুটবলাররা। ভড়কে গিয়ে আর শট নেওয়া হয়নি তার।
এরপর প্রথমার্ধে আরও কয়েকবার দুই দল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি দুই দলের। ফলে গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরেও দুই দল সমানে সমানে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছে। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন নেদারল্যান্ডসের ম্যাথিউ ডি লিট। এর ছয় মিনিট পর মেম্ফিস ডিপাইকে মাঠে নামান কোচ ভন হাল। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিলো না। বলের দখল বেশিরভাগ সময় ডাচদের কাছে থাকলেও শট কিংবা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেছিল সেনেগালই। আলিউ সিসের শিষ্যরা দুই দুইবার ডাচ গোলরক্ষকে ফেলেছিল বড় পরীক্ষায়।
ডেডলক ভাঙার চেষ্টায় বারবার আক্রমণ শানিয়ে গেলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত বাধা ভাঙে ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নেওয়া শট মাথা ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে দেন গাকপো। এতেই স্বস্তি ফেরে ডাচ শিবিরে। ধারণা করা হচ্ছিল হয়তো এই গোলেই নির্ধারণ করে দিবে ম্যাচের ভাগ্য।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার চেষ্টায় ছিল সেনেগাল। কিন্তু ডাচদের আটকিয়ে রাখতে পারেনি দলটি। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আরও একটি গোল হজম করতে হয়।
কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার আগে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ড্যাভি ক্লাসেন। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে গাকপোকে উঠিয়ে ক্লাসেনকে মাঠে নামান কোচ লুই হাল। আর তার পা থেকেই এসেছে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল।
এর আগে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মেম্ফিস ডিপাই। সেই শট ফিরিয়ে দেন এদুয়ার্দো মেন্ডি। সেই ফিরতি শট জালে জড়িয়ে সেনেগালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ক্লাসেন। এতেই ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।