ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজিয়েই টানেলের দিকে এগিয়ে গেলেন রেফারি ফেলিক্স জয়ার। তার দিকে ছুটে যান নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক ভির্জিল ভ্যান ডিহিক। কিছু বলতে থাকেন তাকে। ম্যাচ শেষেও তার রাগ থামছে না। সেমিফাইনালে হারের জন্য রেফারিকে দায়ী করছেন তিনি।
বুধবার রাতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ১-২ গোলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডস। শুরুতে এক গোলে এগিয়ে গেলেও তা পেনাল্টি থেকে শোধ করে ইংল্যান্ড। সেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়েই বিতর্ক। ৯০ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
শুধু পেনাল্টি নয়, গোটা ম্যাচে আরও অনেক সিদ্ধান্তই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গিয়েছে। ডাচ অধিনায়ক ডিহিক বলেন, ‘শেষ বাঁশি বাজিয়েই রেফারি টানেলে ঢুকে গেল। এটাই বলে দেয় সব কিছু। আমার আর কিছু বলার নেই। ম্যাচের শেষবেলায় গোল খাওয়া সত্যিই কষ্টের। আমাকে এখানে এসে বলতেই হবে। সেটা আমার কর্তব্য। কিন্তু কী বলব আমি জানি না।’
৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ১৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। তা নিয়েই বিতর্ক। হ্যারি কেন একটি শট নিতে গিয়েছিলেন। তার বাড়িয়ে দেওয়া পা লাগে ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডামফ্রাইসের পায়ে। ভিএআর-এর মাধ্যমে দেখার পরে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। যা ভাল ভাবে নেয়নি নেদারল্যান্ডস।
এ ছাড়াও ইংরেজ ফুটবলারের হেড করা বল বেরিয়ে গেলেও রেফারি গোলকিকের সিদ্ধান্ত দেন। যেখানে কর্নার দেওয়ার কথা। এমন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েই বিরক্ত ডাচ ফুটবলারেরা। রেফারি জয়ারের দিকে আঙুল বেশি করে উঠছে, কারণ তাকে নিয়ে বিতর্ক আগেও হয়েছে। ২০০৫ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত করা হয়েছিল তাঁকে। আরও এক বার বিতর্কে জড়ালেন তিনি।