শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমে হারের বৃত্তেই আটকা পড়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকায় প্রথম পর্বে তিন ম্যাচ হারার পর চট্টগ্রামেও প্রথম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। অবশেষে সাগরিকায় ‘স্বাগতিক’দের বিপক্ষেই হারের বৃত্ত থেকে বের হলো তারা, দেখা পেলো মহাকাঙ্খিত জয়ের।
শুরুতে আফিফ আর শেষ শুভাগত হোমের ব্যাটিং ঝড়ে ১৩৭ রানের মাঝারি সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাদের তবে মাঝারি সংগ্রহকে খুবই মামুলি সংগ্রহ বানিয়ে ফেলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার লিটন কুমার দাস।
লিটনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো শুরু পায় কুমিল্লা। এরপর একপ্রান্তে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় কুমিল্লা। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ছয় উইকেটের এই জয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চলতি বিপিলে দিনের দ্বিতীয় খেলায় আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারের শেষ বলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন চট্টগ্রামের পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান।
এরপর তিন নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে পাল্টা আক্রমণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লের শেষ বলে দলীয় ৪৫ রানে আউট হওয়ার আগে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে এসেছ ২১ বলে ২৯ রানের ইনিংস।
এরপরই যেন চট্টগ্রামে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল শুরু হলো সাগরিকায়। ৩৩ রানের ব্যবধানে ফিরে যান চার ব্যাটার। এরপর শেষদিকে ব্যাট হাতে দলের সংগ্রহ বাড়ানো দায়িত্ব নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
২৩ বলে চট্টগ্রাম অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসলো ৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যেখানে তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে তাণ্ডব শুরু করেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন। প্রথম ওভারে দুই চার দিয়ে শুরু, এরপর দ্বিতীয় ওভারে এক ছক্কা ও এক চারের পর চতুর্থ ওভারে মারেন আরও দুই ছক্কা।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪০ রানের টর্নেডো ইনিংস। যেখানে লিটন মেরেছেন চারটি চার ও তিন ছক্কা।
লিটন ফেরার পর তিন নম্বরে নামা কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস উইকেটে থিতু হতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৫ রানের ইনিংস। কায়েস ফেরার পর রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান কুমিল্লার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস।
এরপর জাকের আলিকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েন রিজওয়ান। তবে দলীয় ১২৫ রানে জাকেরের বিদায়ে আবারও জুটি ভাঙে কুমিল্লার। ফেরার আগে ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলেন জাকের।
এরপর খুশদিল শাহকে নিয়ে বাকি পথ নিরবিচ্ছিনভাবে পাড়ি দিয়ে কুমিল্লাকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন রিজওয়ান। ম্যাচ শেষে রিজওয়ান ৩৭ ও খুশদিল ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। আর এরই সাথে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা।