এবারের আইপিএলের নিলামটা বাংলাদেশের জন্য ছিল হতাশার। সোমবার দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনের পর নাম উঠেছিল অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তাদের মতোই দল পেলেন না সাকিব।
মোস্তাফিজ ও রিশাদ দল না পেলেও সকলের ধারণা ছিল সাকিবকে হয়তো কোনো দল কিনে নেবে। কিন্তু না, বাংলাদেশকে বরাবরের মতোই অবহেলা করলো আইপিএলের দলগুলো। দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাপারে এক আট্টা সবগুলো দলই। কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি বাংলাদেশের এই তারকার জন্য। এরপর তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদকে নিলামেই ডাক হয়নি।
আইপিএলের মঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাকিব। তাকেই তোলা হলো না নিলামে। এরপরই ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনিও ব্যর্থ আইপিএলের দলগুলোর আগ্রহ জন্মাতে।
যা ধারণা করা হয়েছিল সেটাই হলো। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আইপিএলে খেলে টি-টোয়েন্টিতে ফোকাসে আসুক, সেটা ভারতীয়রা চায় না। আর সে কারণেই আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দল পেলেন না বাংলাদেশের কেউই। নিলামে কোনো দলই তাদেরকে নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। মোস্তাফিজ গতবার আইপিএলে অসাধারণ বোলিং করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস দলের হয়ে। তারপরও দল পাননি। সাকিব চলমান টি-টেন আসলে অসাধারণ অলরাউন্ডিং পারফর্ম করেও দল পেলেন না।
দ্বিতীয় দিনে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে তোলা হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনকে। এই কিউই ব্যাটার দল পাননি। আজিঙ্কা রাহানে, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও পৃথ্বী শ`কে দলে নেয়নি কেউই। শার্দুল ঠাকুর দল পাননি। দল পাননি ড্যারিল মিচেল। শাই হোপ অবিক্রিত থেকেছেন। দল পাননি কে এস ভরত। দল পাননি অ্যালেক্স ক্যারি ও ডন ফেরেইরা।
আইপিএলের প্রতিবারই বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের তেমন মূল্যায়ন করা হয় না। এরমধ্যেই সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজ এ পর্যন্ত আইপিএলে যতগুলো আসরে অংশ নিয়েছেন, তাতে তারা হতাশ করেননি। কিন্তু সাধারণ মানের ভারতীয় ও ভারতের বাইরের দেশের অনেক খেলোয়াড়কে আইপিএলে নেওয়া হলেও বাংলাদেশিরা থাকলেন অবিক্রিত।