১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (তৎকালীন নাম নকআউট বিশ্বকাপ) প্রথম আসর বসেছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। তাতে শিরোপা জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আর দলটির ফাইনালেই উঠা হয়নি। এবার দলটি আশায় ছিল, শিরোপা না জিতুক, ফাইনালে উঠবে। কিন্তু এবার দল ঘোষণার মাত্র দুদিন পরই দুঃসংবাদ শুনতে পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
পিঠের চোটের জেরে সাউথ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি আসর থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার এনরিখ নরকিয়া। মাত্র কয়েকদিন আগেই প্রোটিয়াদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছিলেন এই পেসার। কিন্তু খুব বেশিদিন কাটল না, তিনি ছিটকে গেলেন ট্রফি থেকে।
জানা যাচ্ছে শেষ হয়েই মাস ধরেই চোটে চোটে জর্জরিত ছিলেন তিনি। দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার খেলার কথা ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরকিয়ার গতির জন্য তাকে পাকিস্তানে নিয়ে আসার। সেক্ষেত্রে তিনি দলে থাকলে পেস অ্যাটাক শক্তিশালী হত।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন তারকা পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি। তিনি ফিট থাকলেও নরকিয়াকে নিতে গিয়ে তাকে আর জায়গা দিতে পারেনি প্রোটিয়া বোর্ড। কিন্তু তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভালোই ছন্দ দেখিয়েছেন।
সম্প্রতি এক ম্যাচে কোয়েটজি জোড়া উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ঝড়ো ব্যাটিংও করেন। ২০২৩ সালের ওযানডে বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে প্রোটিয়া শিবিরের সেরা বোলার ছিলেন তিনি। যদিও এখনও বদলী ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেনি ক্রিকেট বোর্ড।
হাতে এখনও প্রায় ১ মাস সময় রয়েছে স্কোয়াডে পরিবর্তনের। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দিতে হবে। তাই তড়িঘড়ি কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না প্রোটিয়া বোর্ড। কোয়েটজিসহ আরো কয়েকজনকে দেখে নিয়ে তবেই কম্বিনেশন অনুযায়ী পরিবর্ত ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করতে পারে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা।
সোমবারই এনরিখ নরকিয়ার চোটের জায়গার স্ক্যান করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েই চিকিৎসকরা জানান যে তার চোট দ্রুত সাড়ার নয়। পার্ল রয়্যালসের হয়ে তিনি বুধবারের ম্যাচে নামেননি। এরপরই জানা গেল, এবারের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাসহ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও আর খেলা হবে না এই ৩১ বছর বয়সী বোলারের।