বোলারদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে খুলনা টাইগার্সকে মাত্র ১১৩ রানেই আটকে রেখেছিল ঢাকা ডমিনেটরস। কিন্তু এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেরাও বেশ অস্বস্তিতেই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৩৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়েছে ঢাকার। এর আগে বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নিয়েছিলেন ঢাকার এই অধিনায়ক।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই অতি সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন খুলনা ওপেনার তামিম ইকবাল। অন্যপাশে আরেক ওপেনার শারজিল খান আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও দ্রুত তাকে ফিরিয়ে দেন ঢাকা ডমিনেটরস অধিনায়ক নাসির হোসেন।
তিন নম্বরে নেমে মুনিম শাহিরিয়ার প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই আল আমিনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে যান তিনি।
এরপর চার নম্বরে ব্যাটিং করতে এসে মুখোমুখি হওয়া প্রথম তিন বলে দুই বাউন্ডারি মারেন খুলনার পাকিস্তানি ব্যাটার আজম খান।
তবে এর পরের ওভারেই ঢাকার স্পিনার আরাফাত সানির শর্ট বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ১৪ বলে মাত্র আট রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দুর্দান্ত শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আজম। দলীয় ৪৯ রানে ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরে যান তিনি। এরপর সাইফ উদ্দিনকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন খুলনার অধিন্যাক ইয়াসির।
তবে দু’জনের জুটি স্থায়ী হলেও রানের চাকার গতি কমে এসেছিল অনেকটাই। দলীয় ৮০ রানে ব্যক্তিগত্র ২৪ রানে ইয়াসির ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৩১ রানের সংগ্রামী জুটি।
অধিনায়ক ফেরার পর আবারও নিয়মিত উইকেট হারানো শুরু করে খুলনা। দলীয় ৮৭ রানে সাইফ বিদায় নেওয়ার পর দলীয় ১০০ রানে নাহিদুলও ফিরে যান। শেষদিকে উইকেটে এসে এক চার ও এক ছক্কায় দারুণ ক্যামিও খেলেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ।
তবে সাব্বির রহমান ১১ বল খেললেও কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস।
শুরু থেকে সাবধানী ব্যাটিং করা ঢাকা প্রথম উইকেট হারায় ইনিংসের অষ্টম ওভারে। তবে তার আগে একবার সৌম্যকে আউট- নট আউট দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। মাঠের আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন সৌম্য। টিভি আম্পায়ার প্রথমে আউট দিলেও সৌমের দাবির মুখে পুনরায় চেক করে নটআউট দেন।
সৌম্য ফেরার পরের ওভারে বিদায় নেন ঢাকার আরেক ওপেনার মুনাওয়ারা। লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে তাকে ফিরিয়ে দেন খুলনার পেসার সাইফ উদ্দিন।
এরপরই যেন রানের চাকা বন্ধ হয়ে যায়! ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ে আরও চাপে পড়ে ঢাকা।
তবে এরপর ব্যাট হাতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান ঢাকার অধিনায়ক নাসির। আফগান ক্রিকেটার ওসমান গনিকে নিয়ে খুলনা টাইগার্সের বোলারদের একের পর এক আগুনঝড়া ডেলিভারি সামলিয়েছেন দুর্দান্ত দক্ষতায়।
শেষদিকে জয় থেকে ১৪ রান দূরত্বে ওসমান ফিরে গেলেও নাসির ছিলেন অবিচল। পাঁচ বল বাকি থাকতে ৩৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। আর এই জয়ে বিপিএলের চলতি আসরে শুভসূচনা করলো ঢাকা ডমিনেটরস।