গত দশ বছর ধরে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেরা পাঁচ অলরাউন্ডারের তালিকায় সারা বিশ্বের একজনের নামই ছিল। এমন বিশ্বরেকর্ডের মালিক আর কেউ নন, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা গৌরব সাকিব আল হাসান।
বছরের পর বছর ধরেই বাংলাদেশের পতাকাটা ধরে রেখেছিলেন সাকিব। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের পর তার নামটা সেখান থেকে সরিয়ে নেয় আইসিসি। টেস্ট ফরম্যাটে তার অবসরের স্পষ্ট কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত আসেনি। ফলে সেখানে এখনো তার নাম রয়েছে।
তবে আইসিসি বিষ্ময়ের জন্ম দিয়েছে ওয়ানডে র্যাঙ্কিং থেকে সাকিবের নামটা সরিয়ে দিয়ে। এখন পর্যন্ত সাকিব বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটেই কেবল নিজেকে ধরে রেখেছেন, অবসর নেননি। যদিও আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিংয়ের পর্দায় তার নাম নেই। তার নাম দেখতে না পেয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
অবশ্য আইসিসি সাকিবের নামটা র্যাঙ্কিং থেকে সরিয়েছে নিজেদের নিয়মের কারণেই। এক বছর কোনো ম্যাচ না খেললে নাম ওঠে না আইসিসির তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নাম। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের সঙ্গেও তাইই ঘটেছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের পর থেকে যে দেশের জার্সিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে আর খেলেননি সাকিব।
বিশ্বকাপে বহুল আলোচিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটাই সাকিবের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ। সেই ম্যাচটায় সাকিব ছিলেন অধিনায়ক। টাইমড আউটের আলোড়ন তোলা ঘটনাও হয়েছিল সেদিন। আবার সাকিব ছিলেন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের খেলা ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেটায় ছিলেন না সাকিব। এরপর বাংলাদেশ দুইটি সিরিজ খেললেও সাকিব ছিলেন না স্কোয়াডে।
অবশ্য একটি ম্যাচ খেললেই সাকিব ফের র্যাঙ্কিং তালিকায় চলে আসবেন। বর্তমানে ওয়ানডের অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। দুইয়ে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা, তিনে আরেক আফগান রশিদ খান। চতুর্থ স্থানে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ।
সাকিবের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে অবসর নেবেন তিনি। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিতর্কিত হয়েছেন সাকিব নিজেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের আছে আর তিন ওয়ানডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সেই ম্যাচগুলোতে সাকিব থাকবেন কি না তা জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে দোদুল্যমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই হয়ত শেষবার দেখা যেতে পারে সাকিবকে।