ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তারপর থেকেই দেশটিতে ক্রিকেট বিপ্লব শুরু হয়। সে সময়কার ভারতের তরুণ প্রজন্ম ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠেন। হাজারও তরুণ ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বুকে লালন করতে থাকেন। তাদের মধ্যে ছিলেন একজন শচীন রামেশ টেন্ডুলকার। সেই ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে দেখে যে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন টেন্ডুলকার। এরপর তিনিও হয়েছেন ২০১১ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আর ভারত হয়েছে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বসেরা।
এবার আরও একবার ভারত বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসছে ভারতের মাটিতে। নিজেদের ঘরের মাঠে বিশ্বমঞ্চে জ্বলে উঠেছে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। তাদের ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছিটছে। দলও আকাশে উড়ছে। রবিন রাউন্ড লিগে টানা ৬ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে রোহিতের ভারত। প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে জয় তুলে নিচ্ছে ম্যান ইন ব্লুরা।
রোহিতের নেতৃত্বে বিশ্বকাপে আনবিটেন থাকা ভারতের খেলা দেখে গর্ব বোধ করছেন টেন্ডুলকার। বুধবার (১ নভেম্বর) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উদ্বোধন করা হয় টেন্ডুলকারের ভাস্কর্য। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে ১৯৮৩ সালের গল্প শোনানোর সঙ্গে রোহিত–কোহলিদের খেলায় নিজের মুগ্ধতার কথাও বলেছেন লিটল মাস্টার।
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ দেখতে যাওয়া নিয়ে টেন্ডুলকার স্মৃতিচারণ করেছেন। টেন্ডুলকার বলেন, “সালটা ছিল ১৯৮৩ এবং বিশ্বকাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতে এসেছিল। সেটা নিয়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা। বান্দ্রা থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধুরা এসেছিলেন। তারা সবাই ম্যাচটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন এবং অবশ্যই আমাকেও যেতে বলা হয়। আমি পুরো ম্যাচ নর্থ স্ট্যান্ডে বসে দেখেছি।”
রোহিত–কোহলিরাও এবার যেন ভারতের মানুষের মনে সেই উন্মাদনাই ফিরিয়ে দিচ্ছেন, এমনটাই মনে করেন টেন্ডুলকার। লিটল মাস্টার বলেন, “আমাদের দলের সবাই মিলে ভিন্ন একটা ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে। তারা এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছে, আমি অনেক গর্বিত ও আনন্দিত।”