ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড আর মাত্র একটি জয় পেলেই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) শিরোপা নিশ্চিত করতে পারবে। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ উপলক্ষে তাদের ১০ জন খেলোয়াড় এখন জাতীয় দলের স্কোয়াডে, আরও দুজন ইনজুরিতে। এ নিয়ে চিন্তিত আবাহনীর কোচ, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ সুজন।
মঙ্গলবার বিকেএসপিতে শেখ জামালের মুখোমুখি হবে টেবিলে অনেক এগিয়ে থাকা আবাহনী।
৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ সামনে রেখে রোববারই ঘোষণা করা হয় জাতীয় দল। তাতে জায়গা পেয়েছেন আবাহনীর লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলাম।
এরমধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদও ইনজুরিতে পড়ায় বেশ বিপাকে আবাহনী। একাদশ সাজাতে তাই সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কিছু ক্রিকেটার অনুশীলনে নিয়ে আসেন সুজন।
অনুশীলনের পর সুজন বলেন, ‘আসলে ওই বয়স তো নাই। মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। দল গঠন করাই এখন কঠিন।’
প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আবাহনী। বাকি আছে তিন ম্যাচ। শিরোপা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটা জয়।
আবাহনী কোচ বলেন, ‘যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড় চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব। ইচ্ছা ছিলো অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’