বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শুরুর আগেই মাঠ ত্যাগ করেন বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ ’সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত শেষ অ্যালান ডোনাল্ড। বিশ্বকাপের পরেই যে বাংলাদেশ অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান তা আগেই জানা ছিল। অনেকটা কষ্ট নিয়েই বাংলাদেশকে বিদায় বলতে হয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্বকাপের আগে পেসাররা দারুণ করলেও, ভারতে যেন সেই ছন্দে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামরা।
অজিদের বিপক্ষে হারের পর মিক্স জোনে ডোনাল্ডকে নিয়ে তার শিষ্য তাসকিন আহমেদ মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। অনেক কথার ফাঁকে উঠে আসে ডোনাল্ড প্রসঙ্গটাও। বিদায়ী গুরুর জন্য শুভকামনাও জানালেন এই পেসার।
তাসকিন বলেন, “সে অসাধারণভাবে আমাদের পেস বোলিং গ্রুপকে টেইক কেয়ার করতো। ভালো হোক বা খারাপ হোক, সবসময় পাশে থাকতো। মোটিভেট করতো আর ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই উপভোগ করেছি উনার সাথে কাজ করে।”
ডোনাল্ডের এই প্রস্থানকে অবশ্য পেশাদারি দৃষ্টিতেই দেখছেন তাসকিন। টাইগারদের পেসার বলেন, “সে চলে গেল, এটাই পেশাদার জীবন। সব কোচই দুই বছর, চার বছর পর চলে যাবে। তার সামনের দিনগুলোর জন্য শুভ কামনা থাকল। ভবিষ্যতে আরও একজন ভালো বোলিং কোচের আশা করছি।”
এর আগে ডোনাল্ড পেসারদের নিয়ে বলেন, “তাদের সঙ্গে আমার দারুণ একটা বন্ধুত্ব হয়েছে। আমাদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। আমি কখনই এখান থেকে নিজেকে ডিলিট করব না। কথা বলার জন্য, আলোচনার জন্য গ্রুপটা আমি সবসময় খোলা রাখব। তাদের কেউ যদি কথা বলতে চায়, গ্রুপে চ্যাট করতে চায় করতে পারবে। এটা যেকোনো সময়ই হোক না কেন কোনো সমস্যা নেই।”