বাংলাদেশের বিশ্বকাপের পঞ্চম ম্যাচের ভেন্যু ছিল মুম্বাইতে। সেই ম্যাচের পর টাইগারদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল কলকাতায়। সেখানেই বাংলাদেশের পরবর্তী দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বুধবার (২৫ অক্টোবর) মুম্বাই থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দল কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দলকে ভারতে রেখে দেশে ফিরে আসেন। এরপর দুদিন শৈশবের কোচ নাজমূল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে অনুশীলন করেন এই অলরাউন্ডার।
ইডেন গার্ডেনসে শনিবার (২৮ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এদিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, সাকিবের চলে যাওয়া কি দলে কোনো প্রভাব ফেলেছে?
উত্তরে তাসকিন বলেন, “আসলে এটা তেমন প্রভাব ফেলেনি। উনি ফেরার পর দলের সবার খুব ভালো সময় কেটেছে। উনি কিছু উন্নতির জন্য গিয়েছিল, নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ব্যাট করছিলেন না। নির্দিষ্ট অনুশীলন করতে চেয়েছেন আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু করতে। আমাদের এটার প্রশংসা করা দরকার।”
এই পেসার আরও বলেন,“উনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই গেছে। আমাদের ওই দিন রেস্ট ডে ছিল। অফিশিয়াল অনুশীলনে উনি আছেন এখানে। আমার মনে হয় আরও বাহবা দেওয়া দরকার। আমাদের কোনো সমস্যা নেই, আমাদের এটা প্রভাবও রাখছে না।”
সাকিব আল হাসান দলের অধিনায়ক, এজন্যই কি তিনি এই সুযোগ পেলেন? এমন প্রশ্নও ছিল তাসকিনের কাছে। অন্য কোনো ক্রিকেটার হলে কি এই সুযোগ পেতেন? বাংলাদেশি পেসার দিয়েছেন ওই ব্যাখ্যাও।
এই স্পিড স্টার বলেন, “আসলে ধরেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সে যখন কথা বলেছে, তার ব্যাটিং নিয়ে একটা কিছু অনুশীলন করা দরকার। আবার সেই দিনটা বিশ্রামের দিনও ছিল। কলকাতা থেকে কাছে ছিল। এজন্য আসলে সে গিয়েছে। সে তো আসলে অন্য কোনো পারপাসে যায়নি। ক্রিকেট সম্পর্কিত কাজে গিয়েছিল। কোচ আর ম্যানেজমেন্ট যখন বলেছে ওকে ফাইন। তখন সে গেছে।”
এই পেসার আরও বলেন,“কোনো কিছু আসলে নিয়মভঙ্গ করে যায়নি। অনুমতি নিয়ে গেছে। গিয়ে কিন্তু চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছে। পরের দিনেই আবার প্র্যাকটিস করে চলে এসেছে। এটা আসলে আমরা প্লেয়াররা, টিম মেটটরা অ্যাপ্রিসিয়েট করছি যে বিশ্রামের দিনে সে গিয়ে ব্যাটিং করছে। তার ব্যাটিংটা আমাদের দলের জন্য এতোটা গুরুত্বপূর্ণ, সেও মরিয়া যে কিভাবে ভালো করা যায়। তার আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি।”