চট্টগ্রামের মাটিতে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালকে জেতালেন টি-টোয়েন্টির মারকুটে ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিমের জন্ম চট্টগ্রামেই। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের ভালো খেলাটা স্বভাবসুলভ। চলতি বিপিএল চট্টগ্রামে গড়াতেই সুযোগ কাজে লাগালেন বাঁহাতি ব্যাটার। ঢাকার বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন বরিশাল অধিনায়ক। করেছেন ৪৮ বলে ৬১ রান। দলও পেয়েছে অনবদ্য জয়।
আগের ম্যাচেই রানের নহর বইয়ে দেওয়া ঢাকা বৃহস্পতিবার গুটিয়ে গেছে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১৩৯ রানে। ১৪০ রানের মামুলি লক্ষ্য তামিমের বরিশাল টপকে গেছে ২৪ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে।
বরিশালের নাজমুল হোসেন শান্ত আজও ব্যর্থ। আউট হয়েছেন ৩ বলে ২ রান করে।
দ্বিতীয় উইকেটে বিপিএলের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানকে নিয়ে ৮০ বলে ১১৭ রানের জুটি করেন তামিম। এই জুটিতেই জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বরিশাল।
৬ চার এক ছক্কায় ৬১ রান করে আউট হন তামিম। থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হন বরিশাল অধিনায়ক।
তৃতীয় উইকেটে জাহানদাদ খানকে নিয়ে ৬ বলে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন মালান। ৪১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ ব্যাটার। ৪ বলে ১৩ রানে উইকেটে ছিলেন জাহানদাদ।
এরআগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ব্যাট করতে নেমে তানজিদ তামিম আর লিটন দাস মিলে ভালো শুরু করেছিলেন। তবে লিটন ছিলেন নিষ্প্রভ। তানজিদ তামিমের ব্যাট সচল থাকলেও লিটন ১৭ বল খেলে ১৩ রান করে আউট হন।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে ঢাকার। মুনিম শাহরিয়ার আউট হন শূন্য রানে। ৮ রান করে বিদায় নেন জিন পিয়েরে কোৎজে। সাব্বির রহমান আউট হন ১০ বলে ১০ রান করে। অধিনায়ক থিসারা পেরেরা তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন মাত্র ১১ রান। ২২ রান করে আউট হন ফারনুল্লাহ।
সবার চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। একাই লড়াই করেন তিনি। ৪৪ বলে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। দুটি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
বরিশালের হয়ে সফল বোলার ছিলেন স্পিনার তানভির ইসলাম। ৩৯ রান দিলেও তিনি নেন ৩ উইকেট। ফাহিম আশরাফ নেন ২ উইকেট।
ম্যাচসেরা হন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।