বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে যেন অন্যরূপে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি। এবারের আসরে এ পর্যন্ত দু’বার মেজাজ হারান। এতে বিদেশিদের কাছে দেশের মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
রোববার চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে মাঠে মেজাজ হারাতে দেখা গেছে তামিমকে। এরআগে তিনি রংপুরের বিদেশি রিক্রুট অ্যালেক্স হেলস ও ঢাকা ক্যাপিটালসের সাব্বির রহমানের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান।
আগের ম্যাচে সাব্বিরের সঙ্গে মেজাজ হারানোর পর ম্যাচ প্রজেন্টেশনে বিসিবি সভাপতি ফারুকের জন্য অপেক্ষায় থেকে বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত পুরস্কার নেয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নাজমুল শান্ত যান তামিমের পুরস্কার নিতে।
রোববার চট্টগ্রামে চিটাগাংসের ম্যাচে রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে রান আউটের শিকার হন তামিম। সঙ্গে সঙ্গেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বরিশালের অধিনায়ক। মেজাজ হারিয়ে তর্কে লিপ্ত হন সতীর্থ ডেভিড মিলারের সঙ্গে।
চিটাগংসের দেয়া ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভার পর্যন্ত সবই ঠিক চলছিল। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ঘটনার সূত্রপাত। আলিস আল ইসলামের করা ডেলিভারিটি শর্ট কভারে ঠেলে দিয়ে রানের জন্য দৌড়াতে গিয়েও থেমে যান মালান। উসমান খান প্রথমবারে বলটি ধরতে ব্যর্থ হন। আর তামিম সেই সুযোগই নিতে চেয়েছিলেন।
এক পর্যায়ে রানের জন্য দৌড়াতে গিয়ে তামিম মাঝ উইকেট পর্যন্ত চলেও যান। কিন্তু মালানের সাড়া না পাওয়ায় আবার ফিরে আসেন নন স্ট্রাইকে। ততক্ষণে বল ধরে উসমান থ্রো করেন বোলার আলিসের দিকে। আলিস বল ধরে সঙ্গে সঙ্গে উইকেট ভেঙে দেন। এরপর চেহারা দেখেই মনে হচ্ছিল বিষয়টিতে খুশি হতে পারেননি তামিম। তাই হাত তুলে জানতেও চান মালানের কাছে, কেন সিংগেল নেননি? এসময় মাঠ ছাড়তে ছাড়তে মালানকে কিছু একটা বলতে দেখা যায় তামিমকে।
মালানও তার প্রতি উত্তর দিতে দিতে নন স্ট্রাইকের দিকে এগিয়ে যান। সেই তর্কের পর মালানকে থামাতে এগিয়ে যান চিটাগং কিংসের ফিল্ডাররা।