বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে অবিশ্বাস্য ও রুদ্ধশ্বাস লড়াই উপভোগ করলো মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের দর্শকরা। ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ফাহিম আশরাফের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
১৯৮ রানের কঠিন টার্গেট সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ফরচুন বরিশালের প্রথম সারির ব্যাটাররা দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ মাঠে নেমেই ম্যাচের চেহারা বদলে দিলেন। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন ফাহিম। তাদের চার-ছক্কার বাহাদুরিতে বরিশাল জয় পেল।
মাত্র ২৬ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ করেন অপরাজিত ৫৬ রান। আর ২১ বলে ১টি চার ও ৭টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। এছাড়া, তৌহিদ হ্রদয় ৩২ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৭ ও মুশফিকুর রহিম ১৩ রান করেন।
রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ ৩টি এবং হাসান মুরাদ ২টি উইকেট পান।
এর আগে এক দুরন্ত ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বরিশালের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৯৪ রানের মারকুটে এক ইনিংসই খেলেছেন রাজশাহীর এই তারকা ব্যাটার। ডানহাতি ব্যাটারের বিস্ফোরক ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের পুঁজি গড়ে রাজশাহী।
সোমবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানেই ২ উইকেট হারায় রাজশাহী। এরপরই নতুন করে বিপিএলে আসা দলটিকে বড় পুঁজি গড়ার ভিত গড়ে দেন এনামুক হক বিজয় ও ইয়াসির আলী। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ৮৭ বলে ১৪০ রান করেন তারা।
৫১ বলে ৬৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন বিজয়। ৪ চারের সঙ্গে হাঁকান ৫টি ছক্কা। ইয়াসির থাকেন অপরাজিতই। তবে মাঠের মধ্যেই ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ করতে দেখা গেছে এই ব্যাটারকে। ৯৪ রানের ইনিংস খেলার পথে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া, মোহাম্মাদ হারিস ১৩, রায়ার্ন বার্ল অপরাজিত ৯ রান করেন।
বরিশালের কাইল মায়ার্স ২টি এবং ফাহিম আশরাফ ১টি উইকেট লাভ করেন।