• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নগদের গাড়ি জেতা অনুপের বাবার চিকিৎসা করাবেন তামিম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০৫:১৮ পিএম
নগদের গাড়ি জেতা অনুপের বাবার চিকিৎসা করাবেন তামিম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার তেজকুনিপাড়ার গির্জা গলিতে থাকেন অনুপ এলভিন অধিকারি। তার বাবা সুশান্ত অধিকারি এক সময়ে স্কয়ার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। যদিও শারীরিক অসুস্থতায় চাকরি ছেড়ে বাধ্য হয়ে বাসায় বসে আছেন। পড়াশোনা শেষ করলেও এখনও চাকরি জোগাড় করতে পারেননি অনুপ। সবমিলিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে পরিবারটি।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রচণ্ড গরমে মানুষ দিশেহারা।  এরকমই এক দুপুরে হঠাৎই অনুপের বাবা দরজা খুলে দেখেন সামনে দাঁড়ানো টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তামিমকে দেখে কিছু সময় যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কলিংবেলের শব্দ শুনে এগিয়ে এসেছিলেন অনুপও।

তামিমকে প্রথম দেখায় নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অনুপ। মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে গেলে খানিকটা দৌড়ে গিয়ে তামিমকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।

দারাজ থেকে চাল, ডাল, তেল আর আলু কিনে নগদে পেমেন্ট করেছিলেন অনুপ। সেই সুবাদে ২১ লাখ টাকার ব্র্যান্ড নিউ টয়োটা গাড়ি জিতেছেন তিনি। আর সেই গাড়ি দিতেই নগদের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর তামিম ছুটে গিয়েছিলেন অনুপদের বাসায়।

তবে তামিমকে দেখে আচমকা একটু ভয়ই পেয়েছিলেন অনুপের মা হাসি অধিকারি। যদিও দ্রুতই সেই ভয় কাটিয়ে দেন তামিম নিজে। এরপর অনুপের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে উঠে আসে তার বাবার হার্টের সমস্যা। বছর চারেক আগে বাবার হার্টে ব্লক ধরা পড়লেও এখনও রিং পড়ানো হয়নি বলে জানান অনুপ।

তখন তামিম জানতে চান কেন রিং পড়ানো হয়নি। তখন অনুপের মা বলেন, ‘খরচ তো অনেক বেশি, আমাদের তো আসলে সেই সামর্থ্য নেই। তখন তামিম বলেন, “কত টাকা খরচ? আমিই দিয়ে দিবো। আপনি রিং পড়াই দেন। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েন, আমি আছি তানভীর (নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক) ভাই আছে। আমরা ব্যবস্থা করে দিবো।” এ সময় ছোটবেলায় হারানো নিজের বাবার কথা স্মরণ করেন তামিম। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যখন তামিমের বাবা মারা যান তখন তার বয়স ১২-১৩ বছর।

তামিম বাবার কথা স্মৃতিচারণে বলেন, “আমার বাবারও হার্টের সমস্যা ছিল। আমার বাবা ২০০০ সালে ইন্তেকাল করেন। আমার তখন ১২-১৩ বছর, আরও কম মনে হয়। আমার আব্বার যখন ওপেন হার্ট সার্জারি হয় তখন আমি অনেক ছোট। তখন সেই অপারেশন হতে লাগত ৮ ঘণ্টা। এখন তো ২-৩ ঘণ্টার মাঝে হয়ে যায়।”

Link copied!