অনেক দিন ধরেই তামিম ইকবাল পিঠের ইনজুরিতে ভুগছেন। পিঠের এই ইনজুরির কারণে বেশির ভাগ সময় তামিমকে মাঠের বাহিরে থাকতে হচ্ছে। সামনে ক্রিকেটের বড় দুটি আসর। তাই ঘুরে ফিরে একটাই প্রশ্ন বাংলাদের অধিনায়ক খেলতে পারবেন তো? কারণ তার যে রয়েছে পিঠের ইনজুরি। অধিনায়ককে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে খেলতে হলে ইনজুরি দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। যার জন্য তাকে সাময়িক সময়ের জন্য ব্যাথাকে দাবিয়ে রাখার জন্য নিতে হবে ইনজেকশন আর ইনজুরির স্থায়ি সমাধানের জন্য করতে হবে অস্ত্রোপচার।
অস্ত্রোপচার করলে তাকে ৩-৪ মাস থাকতে হবে মাঠের বাহিরে। এত দিন মাঠের বাহিরে থাকলে তার বিশ্বকাপ মিস হয়ে যাবে। আর ইনজেকশন নিলে ৩-৫ মাস ব্যাথা দাবিয়ে রেখে খেলতে পারবেন। তাই দেশ সেরা ওপেনার ইনজেকশন নেওয়ার পথেই হেঁটেছেন। দ্রুত সময়ে মাঠে ফিরতে ইনজেকশন নিয়েছেন তামিম।
খান সাহিবের ক্ষতিগ্রস্থ দুই ডিস্ক এর জন্য তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশন গুলো দেওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের টেবিলেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই ইনজেকশন সাধারণত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তবে সেই সময়টা কতদিন, পর্যন্ত সেটার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি চিকিৎসকরাও।
কারও ক্ষেত্রে ইনজেকশনের কার্যকারিতা ৩ মাস থেকে শুরু করে ৫ মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার ১ মাসের মধ্যেও ব্যাথা ফিরে আসে। এর আগে একবার তামিম ইনজেকশন নিয়েছিলেন তখন তিনি তিন মাস সময় নির্বিঘ্নে খেলতে পেরেছিলেন। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শুরু হলে ৭ থেকে ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে এই ব্যাটারকে।
এরপর থেকে আস্তে আস্তে ফিটনেস ট্রেনিংসহ অনুশীলন শুরু করতে পারবেন। তামিমের জন্য আসল পরীক্ষা শুরু হবে অনুশীলন শুরু করার পর থেকে। তখন যদি আবার ব্যাথা ফিরে আসে, তাহলে আরেক ধাপে ইনজেকশন নিতে হবে। তাতেও যদি কাজ না হয় তখন অস্ত্রোপচার করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না তার জন্য।
তামিম ইকবাল এই ব্যাথা ২০২২ ভারত সিরিজের সময় অনুভব করেন। সেই ভারত সিরিজ আর খেলা হয়নি তামিমের। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে মাঠের বাহিরে থাকতে হয়েছে তাকে।