টি-টোয়েন্টিতে তামিম ইকবাল অসাধারণ এক ব্যাটার। নিঃসন্দেহে তাকে এই ফরম্যাটে দেশসেরা ওপেনার বলাই যায়। কারণ, গত বছর বিপিএল আসরে তামিম সর্বাধিক রান করেন। যদিও তাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যায়নি। এরজন্য অবশ্যই বিসিবিকে দায়ী করা যায়।
মজার বিষয় হলো, তামিম নিজে গত বছর ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন, তাও আবার মাত্র কয়েকটি ম্যাচে। যেখানে লিগপর্বে ছিল ৯টি ম্যাচ। সঠিক বিবেচনায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আবার গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তামিম এই ফরম্যাটে তার শেষ দশটি ম্যাচে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটাও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বাকি ৯টি ম্যাচে তিনি ছিলেন একেবারেই ফ্লপ। হয়তো এটাও নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিল।
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছেন সেই তামিম। মূলত তিনি নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। গুঞ্জন আছে আসন্ন ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে এখনো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) নিশ্চিত করে কিছু বলেননি তামিম। বরং এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড থেকে আরো কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। নিজের ওয়ানডে ফর্ম নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত তিনি। সে কারণেই হয়তো কিছুদিন সময় চেয়েছেন।
সিলেটে নির্বাচক কমিটির সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তামিম ইকবালের মতো একজন খেলোয়াড়কে সম্মান জানাই। তার সিদ্ধান্তেরও সম্মান জানাই আমরা। সেজন্য তিনি যদি একটু সময় নিতে চান আমাদের কাছ থেকে, আমার মনে হয় এটা ফেয়ার এনাফ। আমি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরও কোনো অসুবিধা নেই।’
আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই আসরের জন্য ১২ জানুয়ারীর মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া দলগুলোকে। তার আগেই অবশ্য খসড়া স্কোয়াড বোর্ডে জমা দিতে চান লিপু। তাই তামিমের ব্যাপারে এর আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। তবে তার আগে ভাবার জন্য কিছু দিন সময় পাচ্ছেন তামিম।
এ প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘তার ঘনিষ্ঠজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব কিংবা তার প্রিয় কোচ অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে একটু সময় নেওয়ার তো ব্যাপার এসেই যায়।’