তৌহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো জুটিতে ১৭০ রানের ঝড়ো সংগ্রহ পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রনি তালুকদার ও নাঈম শেখের টর্নেডোতে জয়ের রাস্তা তৈরি হয়েছিল রংপুর রাইডার্সের। শেষ দিকে শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের জুটিতে দুই ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে গিয়েছে রংপুর।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের বিপক্ষে রংপুরের জয় এসেছে আট উইকেটের ব্যবধানে। এটা চলতি আসরে রংপুরের সপ্তম জয়। অন্যদিকে সিলেট এই নিয়ে হারলো চার ম্যাচ।
আগেই দুই দলের প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এটি ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার ম্যাচ। এদিন সিলেট দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অন্যদিকে রংপুরও একাদশের নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিল।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৬ রান তুলতে পেরেছে সিলেটের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়।
দলীয় ৪৩ রানে শান্ত ফিরলে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। তিন নম্বরে নামা জাকির হোসেনও ফিরে যান দ্রুত। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চাপ সামনে আসতে আসতে রানের চাকা সচল করে হৃদয়।
দুজনের সাবলিল ব্যাটিংয়ে চাপ কাটিয়ে রংপুরের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া শুরু করে সিলেট। দুজনেই এরপর রংপুরের বোলারদের উপর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। হাসান মাহমুদের ওভারে দুই চার ও এক ছক্কা মেরে ঝড়ের শুরু করেন হৃদয়।
এরপর হৃদয়ের সঙ্গে যোগ মুশফিকও। পরের দুই ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে আরও তিন চার ও দুই ছক্কা। ৪৩ বলেহৃদয় স্পর্শ করেন আসরে নিজেরর পঞ্চম ফিফটি। অন্যদিকে মুশফিকের ফিফটি আসে ৩০ বলে।
দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে মাত্র ৫১ বলের যোগ হয় ১০০ রান। শেষ পর্যন্ত তাদের জুটি অপরাজিত ছিল ১১১ রান পর্যন্ত। মুশফিক ইনিংস শেষ করেন অপরাজিত ৫৫ রানে ও হৃদয় ৮২ রানে। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭০ রানের লক্ষ্য পেয়েছে সিলেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রনি তালুকদার আর নাঈম শেখের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় রংপুর। দুজনের তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতেই রংপুরের স্কোরবোর্ডেই জমা হয় বিনা উইকেটে ৫৯ রান।
৯.৫ ওভারে ঠিক দলীয় ১০০ রানে রনি ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের বলে মুশফিকের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে রনির ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে আট চার ও তিন ছক্কায় ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
দলীয় ১২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রংপুর। ৩২ বলে ছয় চারে ৪৫ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাঈম।
এরপর অধিনায়ক সোহান ও শোয়েব মালিক মিলে দুই ওভার বাকি থাকতেই সিলেট জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। শেষ পর্যন্ত শোয়েব ৩৯ এবং সোহান অপরাজির ছিলেন ১৭ রানে।