চায়ের অঞ্চল সিলেট। এ ছাড়াও পুরো সিলেট জুড়েই রয়েছে নানান নয়নাভিরাম দৃশ্য। পর্যটক অঞ্চল এই সিলেটে এখন হয়তো উৎসব চলছে। কারণ একটাই। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) এই প্রথম শিরোপা জিতেছে তারা।
তবে সিলেট যে শিরোপা জিতবে, সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদের কারণে সোমবারই খেতাব লাভের কাছাকাছি চলে যায় সিলেট।
যদিও মঙ্গলবার বরিশালের ১০৫ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই ২ উইকেট হারায় তারা। তবে অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ দারুণ জুটিতে মিলে গেল পার হয়ে যায় সেই লক্ষ্য। বরিশাল বিভাগকে হারানোর পাশাপাশি এনসিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো সিলেট বিভাগ।
আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। ছয় ম্যাচে চারটি জয় ও দুটি ড্রয়ে শিরোপাজয়ী সিলেটের পয়েন্ট ৩৭। দুইয়ে থাকা ঢাকা বিভাগ সমান ম্যাচে দুটি জয় ও চারটি ড্রয়ে অর্জন করেছে ২৫ পয়েন্ট। জাতীয় লিগের আর একটি রাউন্ড বাকি থাকায় তাদের পক্ষে সিলেটকে টপকানো সম্ভব না।
সিলেট ম্যাচের শেষদিনে নামে ১০৫ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। সেই ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অমিত ও নাসুম। ৫২ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রান করা নাসুম আউট হন জয় থেকে ১ রান দূরে থাকতে। সিঙ্গেল নিয়ে দলকে শিরোপা এনে দেন অধিনায়ক অমিত। উল্লাসে মাতানো অমিত অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩০৪ রান। রাজা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রান খরচায়। জবাব দিতে নেমে ৩৪২ রান করে সিলেট। ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পাওয়ায় বড় অবদান ছিল তোফায়েল ও রাজার। নবম উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। তোফায়েল ৮৪ বলে ৬৪ ও রাজা ১৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
আগের দিন বরিশালকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় খালেদ ও তোফায়েল রাখেন মূল ভুমিকা। খালেদ ৪ উইকেট দখল করেন ১৮ রানে। তোফায়েল ৩ উইকেট পান ১৭ রানের বিনিময়ে। বোলিং বিভাগের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ ও শিরোপা জেতার কাছে চলে যায় সিলেট।