শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও শান্তর ব্যাটিংয়ে সাবলিল গতিতে এগিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শান্ত গড়েছেন ৭৯ রানের দুর্দান্ত জুটি। তবে শান্ত ফেরার পর মুশফিককে আর কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে মুশফিকের আগ্রাসী ফিফটিতে কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের সংগ্রহ দিয়েছে সিলেট।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শিরোপা জেতার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই সিলেটের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৭ রান। কিন্তু পরের ওভারে আরেক ওপেনার তৌহিদ হৃদয় ও তিন নম্বরে নামা মাশরাফি বিন মুর্তজা দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে সিলেট।
তবে শুরুতে দুই উইকেট হারালেও শান্তর ব্যাটিংয়ে সেটা যেন বুঝতেই পারলো না সিলেট। ছয় ওভারের পাওয়ার প্লেতে উঠলো ৪২ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক আর শান্ত মিলে সিলেটের বড় রানের মঞ্চ প্রস্তুত করেন। ৩৮ বলে ফিফটি করা স্পর্শ করার পর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন শান্ত্র। যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ফেরেন ইনিংসের ১৩তম ওভারে। কুমিল্লার স্পিনার মঈন আলির বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ রান করেন তিনি।
চলতি টুর্নামেন্টে শান্তর সংগ্রহ ৫১২ রান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলের কোনো আসরে ৫০০ বা তার বেশি রান করলেন শান্ত।
এরপর ১৩৪ থেকে ১৫২ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় সিলেট। উইকেটে এসে দ্রুত ফিরে যান সিলেটের জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার রায়ার্ন বার্ল। যদিও মোস্তাফিজের পিচ্ছিল হাতের সৌজন্য একবার জীবন পেয়েছিলেন কিন্তু ফিরেছেন মাত্র এক বলের ব্যবধানে।
থিসারা পেরেরা তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি, সুনীল নারিনের বলে ফেরেন শূন্য রানে। অন্যপাশে অবশ্য রানের চাকা সচল রেখেছিলেন মুশফিক। একপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল লেগে থাকলেও মুশির আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় সিলেট।
এরপর টানা দুই বলে দুইবার জীবন পাওয়া লিন্ডে ফিরেছেন মাত্র তিন রানে। এর আগে তার ক্যাচ ফেলেছেন মঈন আলি ও লিটন দাস।
বলতে গেলে শান্ত ফেরার পর প্রায় একা হাতেই সিলেটের ইনিংস টেনেছেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত তার ৪৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি আর সিলেট পায় ১৭৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সিলেট।