শচীন রমেশ টেন্ডুলকার তাকে বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাটিং ঈশ্বর। সেই টেন্ডুলকারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করছে ভারতীয়রা। অনলাইন গেমিং অ্যাপের বাণিজ্যিক দূত হওয়ায় এবং বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ায় শচীন টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করেন, ভারত মহারাষ্ট্রের অচলপুর থেকে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্য, ওমপ্রকাশ বাবারাও ওরফে বাচ্চু কাডু ও তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। এমনকি টেন্ডুলকারের ‘ভারতরত্ন’পদবিও কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান।
২০২০ সালে ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের বাণিজ্যিক দূত হিসেবে চুক্তি করেন টেন্ডুলকার। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনেও অংশ নেন। এই অ্যাপে টাকা জমা দিয়ে খেলতে হয়, যেটাকে জুয়া সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের সঙ্গে তুলনা করেছেন বাচ্চু কাডু ও তার সমর্থকরা।
কাডুর সমর্থকদের দাবি, ফ্যান্টাসি গেমের আড়ালে আসলে জুয়া খেলা হচ্ছে। টেন্ডুলকার এই অ্যাপের প্রচারণা চালিয়ে যুবসমাজকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন বলেও মনে করেন তারা। তাই টেন্ডুলকারকে পেটিএমের সঙ্গে এই চুক্তি বাতিল করতে আহ্বান জানান তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুধবার (৩০আগস্ট) নির্দলীয় বিধায়ক বাচ্চু কাডু টেন্ডুলকারকে এই সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাঠান। যেখানে তিনি একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে `ভারতরত্ন` পাওয়া টেন্ডুলকারকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন। কিন্তু এই ক্রিকেট কিংবদন্তি কোন উত্তর না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) তার সমর্থকরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তার বাড়ির সামনে হাজির হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বান্দ্রা পুলিশ মহারাষ্ট্র সরকারের সাবেক মন্ত্রী বাচ্চু কাডুসহ ১২ সমর্থককে আটক করে বান্দ্রা থানায় নিয়ে যায়।
আটক হওয়ার পর এই বিধায়ক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা তাকে (টেন্ডুলকার) একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তিনি কোনো উত্তর দেননি। যদি ৩০০ কোটি আয়ের জন্য এ ধরনের প্রচারণায় তিনি অংশ নেন, তার উচিত অবিলম্বে ভারতরত্ন ফেরত দেওয়া।”
তবে বাড়ির সামনে বিক্ষোভ নিয়ে টেন্ডুলকার বা তার পরিবারের কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। ভারতের বর্তমান ও সাবেক অনেকেই অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের প্রচারণা করে থাকেন। এই তালিকায় সৌরভ গাঙ্গুলী, যুবরাজ সিং থেকে শুরু করে বর্তমানের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ারাও এর সঙ্গে যুক্ত। এমনকি ভারতীয় দলের স্পন্সর ড্রিম ইলেভেনও অনলাইন গেমিং অ্যাপ।