বাংলাদেশের ক্রিকেটে অধিনায়ক অধ্যায় শেষ তামিম ইকবালের। ৩৭ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা তামিম গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আর বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের দায়িত্বে থাকছেন না তিনি। ইনজুরি থেকে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় খেলবেন না এশিয়া কাপও। তামিমের সরে যাওয়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার নাম কে নিবেন বাংলাদেশের অধিনায়কের দায়িত্ব। আলোচনায় সবার আগে যার নাম তিনি হলেন সাকিব আল হাসান। কারণ বাংলাদেশ দলের বাকি দুই ফরম্যাটে টাইগারদের নেতৃত্ব যে তার কাধেঁই। অন্য সবার মতো সাকিবেই এগিয়ে রাখছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও।
আজ শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন,‘এখন লিটন দাসকে কীভাবে বলবো ও না? ভারতের সঙ্গে সিরিজ জিতেছে। তবুও সাকিব তো অবশ্যই এগিয়ে থাকবে এখানে। সাকিবের মাথা, অধিনায়কত্বে অভিজ্ঞতা সবকিছুতে অনেক বেশি। তারপরও আমি লিটনকে ছোট করতে চাই না। লিটন খুব ভালো কাজ করেছে। কিন্তু তবুও যে দলে সাকিব আছে, সে দলে সাকিবকে দেওয়াটাই আমার মনে হয়। আমি হলে হয়তো সাকিবের কথা চিন্তা করতাম।‘
অনেকেই বলছেন অধিনায়কের দায়িত্ব নিতে চান না সাকিব আল হাসান। সুজন মনে করেন সাকিব আল হাসান যদি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক নাও হয় এবং লিটন যদি অধিনায়ক হয় তাহলে সাকিব আরও বেশি লিটনকে সাহায্য করবে।
এই নিয়ে সুজন বলেন, ‘ কিন্তু একই সঙ্গে শান্ত, মিরাজ, লিটন এরা তৈরি হবে। আর্মব্যান্ডটা একদিন ওদের হাতে যাবে। তামিম আজকে করতে চাচ্ছে না, সাকিব হয়তো অবসর নেবে এক সময়, মুশফিক অবসর নেবে। তখন এরাই সিনিয়র ক্রিকেটার হবে। তারপরও বলি লিটনকে দিলে সাকিবের জন্য খুব বড় ইস্যু হবে না। সাকিবকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, সাকিবের কাছে এসব মেটারই করে না। সাকিব লিটনকে আরও অনেক বেশি সাহায্য করবে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বোর্ড যদি মনে করে লিটন, তাহলে লিটন দাস। এটা কোনো সমস্যা না। ও যে তৈরি না, এটা বলাও ঠিক হবে না। ক্লাব লেভেলে এতদিন ধরে খেলছে, জাতীয় দলে। ওর অভিজ্ঞতা অনেক ভালো। শেষ পারফরম্যান্স যদি বলি ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে যেহেতু, বারবার লিটনের কথা আসবে। কিন্তু আমি মনে করি সাকিব এখনও আছে যেহেতু, আমাদের খুব ভালো একটা পছন্দ আছে আসলে।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবার দৌড়ে থাকবে এবং ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস খালেদ মাহমুদ সুজনের।