সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলেও প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছে। বাকি দুই ম্যাচে জিতলেই কেবল স্বপ্ন পূরণ হবে টাইগ্রেসদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারালো। স্বাগতিক দল দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখিয়ে রোববার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জয়লাভ করে।
অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচের নায়িকা হয়ে ওঠেছেন। প্রথমে বল হাতে ১০ ওভারে ৪১ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। এরপর ব্যাট হাতে ৯৩ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ১৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনায়াসেই ৩১.৪ ওভারে ২০২-১ রান তুলে নেয়। ম্যাথিউসের ইনিংসে ছিল ১৬টি চারের মার। ওপেনিংয়ে কিয়ানা জোসেফের সঙ্গে ১৬৩ রানের দারুণ জুটি গড়েন তিনি। জোসেফ ৭৯ বলে ৭০ রান করেন, যেখানে ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কার মারেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শুরু থেকেই আগ্রাসী ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন। জোসেফ শক্তিশালী শট খেলতে থাকেন, আর ম্যাথিউস দারুণভাবে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৬তম ওভারে রাবেয়া খানের বলে জোসেফ আউট হলেও ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এরপর শেমাইন ক্যাম্পবেল ম্যাথিউসের সঙ্গে অপরাজিত ১৪ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
এর আগে, ম্যাথিউস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করে বাংলাদেশকে ১৯৮-৯ রানে সীমাবদ্ধ রাখেন। দিয়ান্দ্রা ডটিন ৪০ রান হজম করে দিনের সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। ম্যাথিউস ও আলিয়াহ অ্যালেন দুইটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি। ওপেনার ফারগানা হক পিঙ্কি (১০) ও মুর্শিদা খাতুন (৪০) ডটিন ও ম্যাথিউসের শিকারে পরিণত হন। ফলে ৬৯ রানেই ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। মুর্শিদা ৫৩ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন।
শারমিন আক্তার (৪২) ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি (১৪) তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ইনিংস স্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ১২৩-৪ অবস্থায় তাদের বিদায়ের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে চলে যায়।
সোবহানা মোস্তারি (৩৫) ও শোর্না আক্তার (২৯) পঞ্চম উইকেটে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে লড়াই চালিয়ে যান এবং বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক সংগ্রহের আশায় রাখেন। তবে তারা দুজন এক বলের ব্যবধানে আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস ভেঙে পড়ে। শেষ চার উইকেট হারায় মাত্র ২০ রানের ব্যবধানে। এর ফলে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে করে ১৯৮ রান।