ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে দুই দলের খেলা হয়েছে সমানে সমান। কিন্তু শেষ প্রান্তে এসে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললো চেলসি। যে কারণে হার মেনেই মাঠ ছাড়লো তারা। নব্বই মিনিটের এই ম্যাচে নিরঙ্কুশ আধিপত্য ছিলো চেলসির। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে উলভস।
ম্যাচের প্রথমার্ধে উলভসের বিপক্ষে অনেক সুযোগ নষ্ট করেছে চেলসি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে রাহিম স্টার্লিং খুব সহজ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। উল্ভসের পাওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে যায় চেলসি। কাউন্টার অ্যাটাকে উল্ভসের ডি-বক্সে ঢুকে যায় চেলসির তিন ফুটবলার। বিপরীতে উল্ভসের গোলরক্ষক একা ছিল। তবে স্টার্লিং তার সতীর্থকে পাস না দিয়ে নিজেই গোল করতে চেষ্টা করেন। তাতে বল ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান উল্ভসের গোলরক্ষক জোসে সা।
এছাড়াও নিকোলাস জ্যাকসন দুইটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই গোল খেয়ে বসে চেলসি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করে উল্ভসকে এগিয়ে দেন লেমিনা। এরপর চেলসি বেশকিছু আক্রমণ করলেও তা ধারাল ছিল না।
ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে উল্ভসের জয় নিশ্চিত করেন আইরিশ ডিফেন্ডার ম্যাট ডোহার্টি। বদলি নেমে ক্রিস্টোফার এনকুকু শেষ সময়ে একটি গোল শোধ করলেও, আসরে অষ্টম হার এড়াতে পারেনি চেলসি। আর চলতি মৌসুমে এটি প্রতিপক্ষের মাঠে চেলসির টানা চতুর্থ হার। ২০০০ সালের পর এই প্রথম লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা চার ম্যাচ হারল চেলসি।
এই হারের পর ১৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে চেলসি। সমান ম্যাচে উল্ভসের পয়েন্টও ২২। তবে তারা চেলসি থেকে একধাপ পিছিয়ে আছে গোল ব্যবধানের জন্য।