• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেটের গতি ধরে রাখতে আসছে ‘স্টপ ক্লক’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
ক্রিকেটের গতি ধরে রাখতে আসছে ‘স্টপ ক্লক’
ক্রিকেটের গতি ধরে রাখতে আসছে ‘স্টপ ক্লক’। ছবি: সংগৃহীত

আহমেদাবাদ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচের দিন আইসিসির বৈঠক হয়েছে। সেখানে ক্রিকেটের বেশকিছু নিয়ম পরিবর্তনের জন্য সিদ্ধান্ত আসে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) আইসিসির বোর্ড সভার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা। এর মধ্যে অন্যতম একটি খেলার গতি ধরে রাখতে ‘স্টপ ক্লক’ ব্যবহার। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলবে স্টপ ক্লকের ব্যবহার।

স্টপ ক্লকের উদ্দেশ্য হলো দুই ওভারের মাঝের সময় পর্যবেক্ষণ। আগের ওভার শেষ হওয়ার পর নতুন ওভার শুরু করতে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে ফিল্ডিং দল। এই সময়ের মধ্যে খেলা শুরু না করতে পারলে শাস্তি অপেক্ষা করবে তাদের ওপর। তবে সেটা কার্যকর হবে তৃতীয়বারের পর। অর্থাৎ ফিল্ডিং দল যদি তিনবার ৬০ সেকেন্ডের ভেতর ওভার শুরু না করে তাহলে পাঁচ রান জরিমানা করা হবে তাদের। সেই পাঁচ রান যোগ করা হবে ব্যাটিং দলের খাতায়। তাই ওভারে স্টপ ক্লকের মাধ্যমে দুই ওভারের মাঝের সময় গণনা করা হবে।

ক্রীড়া স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ৯ মাস পরামর্শের পর লিঙ্গ যোগ্যতার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করেছে আইসিসি। এই নিয়ম অনুযায়ী, নারী ক্রিকেটের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা, ন্যায্যতা ও অধীনতা রক্ষা করতে বয়ঃসন্ধিকালের পর কোনো পুরুষ যদি নারীতে রূপান্তরিত হন তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন না। যেকোনো অস্ত্রোপচার কিংবা লিঙ্গ রূপান্তরের চিকিৎসা নিয়ে থাকুক না কেন, খেলার জন্য তাকে অযোগ্য বিবেচনা করা হবে। এই নিয়ম শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্যই প্রযোজ্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এই নিয়ম দুই বছরের পর্যালোচনা করা হবে।  

এছাড়া বোর্ড সভায় পিচ ও আউটফিল্ড পর্যবেক্ষণের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। পিচের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো ভেন্যু যদি ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট পায় পাঁচ বছরের মধ্যে, তাহলে তাদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী সেটি ছিল পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পিচ যে মানদণ্ডে পর্যবেক্ষণ করা হয় সেগুলোও সরল করা হয়েছে।

এ ছাড়া এখন থেকে পুরুষ ও নারী উভয় ক্রিকেটেই আইসিসির আম্পায়াররা সমান ম্যাচ ফি পাবেন, সে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে আইসিসির বোর্ড সভায়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজে একজন করে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

Link copied!