১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারছে না নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে একতরফাভাবে উড়িয়ে দেন নিউজিল্যান্ড। এবার হ্যামিল্টনের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও ছবিটা বদলায়নি।
ওয়েলিংটনে সিংহলিদের ৯ উইকেটে পরাজিত করে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। হ্যামিল্টনে ১১৩ রানের বিরাট জয়ে সিরিজের দখল নেয় কিউইরা।
সেডন পার্কে বুধবার সকালে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ৩৭ ওভার প্রতি ইনিংসে। নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৫৫ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চাপম্যান।
রাচিন ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৬৩ বলে ৬৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। মারেন সাকুল্যে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। চাপম্যান ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৬২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
এছাড়া উইল ইয়ং ১৬, ডারিল মিচেল ৩৮, গ্লেন ফিলিপস ২২ ও ক্যাপ্টেন মিচেল স্যান্টনার ২০ রান করেন। টম লাথাম ও ম্যাট হেনরি উভয়েই ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হনষ খাতা খুলতে পারেননি ন্য়াথন স্মিথ। ৩ রানে নট-আউট থাকেন উইলিয়াম ও`রোর্ক।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৮ ওভারে ৪৪ রান খরচ করে হ্যাটট্রিক-সহ ৪ উইকেট দখল করেন মাহিশ থিকশানা। তিনি ৩৪.৫, ৩৪.৬ ও ৩৬.১ ওভারে পরপর তিন বলে আউট করে যথাক্রমে মিচেল স্যান্টনার, ন্যাথন স্মিথ ও ম্যাট হেনরিকে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৮ ওভারে ৩৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৩০.২ ওভারে ১৪২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬৬ বলে ৬৪ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। জনিথ লিয়ানাগে ২২ ও চামিদু বিক্রমাসিংহে ১৭ রানের যোগদান রাখেন। ১০ রান করেন আবিষ্কা ফার্নান্ডো। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬.২ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন উইলিয়াম ও’রোর্ক। ৫ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন জেকব ডাফি। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রাচিন।