এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের ফাইনালে ভারতের পেসারদের বোলিং তোপে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের এমন অর্জনে এশিয়া কাপের লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি মিলেছে বাংলাদেশের। ২৩ বছর ধরে সর্বনিম্ন স্কোরের যে কলঙ্ক বয়ে বেড়াচ্ছিল বাংলাদেশ সেটা এখন লঙ্কানদের কাঁধে।
এর আগে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি বাংলাদেশের ছিল। ২০০০ সালের সে ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রান অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। সেই দলে ছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম, হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও আকরাম খানরা।
১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ৬২ রানে পরাজিত হওয়ার পর সেবার এশিয়া কাপে খেলতে বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান। টস জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক মঈন খান ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ইমরান নাজির, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইনজামাম উল হকের হাফ সেঞ্চুরি ও শহীদ আফ্রিদির ২৯ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে পাকিস্তান ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে বাংলাদেশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়। পাক পেসার আব্দুল রাজ্জাক ৩টি, আজহার মাহমুদ ২টি উইকেট লাভ করেন।
২০০০ সালের পর আজকের ম্যাচে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে সেই লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিলো শ্রীলঙ্কা। তবে শ্রীলঙ্কা তাদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড থেকে বেঁচে গেছে। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটি ৪৩ রানে। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়ে লঙ্কানরা।