দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট করে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান, ঘরের মাঠে রানের হিসেবে এত বড় ব্যবধানে আর কখনো হারেনি শ্রীলঙ্কা। সিরিজও হোয়াইট ওয়াশ হলো লঙ্কানরা। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনংসে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ একাই গুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের স্পিনার নোমান আলি। লঙ্কান টপ অর্ডারের প্রথম ৭ উইকেট নিজের পকেটে পুড়েন তিনি। শেষের তিন উইকেট নাসিম শাহর দখলে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে এটিই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। আগেরটি ছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে, ইনিংস ও ১৭৫ রানে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) চতুর্থ দিন সকালে মাত্র দুই ওভার ব্যাটিং করে পাকিস্তান। আগের দিনের রানের সঙ্গে আর ১৩ যোগ করে ৫ উইকেটে ৫৭৬ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫০ ও আগা সালমান ১৪১০ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে শ্রীলঙ্কা।
শুরুটা খারাপ হয়নি লঙ্কানদের। নিশান মাদুশঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৯ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ৩৩ রান করা মাদুশঙ্কা আউট হতে ভাঙে সে জুটি। মিডল স্টাম্পে পড়া বল মাদুশঙ্কার ফরোয়ার্ড ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানল অফ স্টাম্পে।
দ্বিতীয় সেশনেই পাল্টে যায় খেলার চিত্র। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই নোমান ফেরালেন ৪১ রান করা দিমুথ করুণারত্নেকে। ইনসাইড আউট শট খেলার চেষ্টায় কাভারে ধরা পড়েন কুসাল মেন্ডিস।
৯৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে আরও বিপদে ফেলে দ্রুত বিদায় নেন দিনেশ চান্দিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ বারের মতো পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নোমান। তার সপ্তম শিকার রমেশ মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কাকে এরপর নিজের দুই ওভারের মধ্যে গুটিয়ে দেন নাসিম। শেষ তিন ব্যাটসম্যানকেই বোল্ড করেন এই পেসার।
সতীর্থদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে একাই লড়াই চালিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২ ছক্কা ও ৭ চারে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে।
দাপুটে পারফরম্যান্সে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের প্রথম সিরিজটি দারুণ কাটল পাকিস্তানের।
ম্যাচ সেরা আবদুল্লাহ শফিক ও সিরিজ সেরা আগা সালমান।