স্পেনের সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার সালমা পারালুয়েলোর অতিরিক্ত সময়ের গোলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পা রেখেছে স্পেন। কোয়ার্টার ফাইনালে লা রোহারা ২-১ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।
ওয়েলিংটন রিজিওনাল স্টেডিয়ামে বল দখল বা আক্রমণে সব দিক থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলো স্পেন। পুরো ম্যাচে লা রোহারা ২৮টি শট করে গোল মুখে যার ৮টি ছিলো অন টার্গেট। অন্যদিকে, হোল্যান্ডরা গোল মুখে শট করেন ১০টি, যার ভিতর ৪টি ছিলো অন টার্গেট। স্পেন তাদের কাছে বল দখলে রাখেন ৬২ শতাংশ।
এতো দারুণ খেলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না স্পেন। গোলশূন্য শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়হাফে আক্রমণ করতে থাকা স্পেন ডেথলক ভাঙ্গেন ৮০ মিনিটে। বদলি নামা সালমা পারালুয়েলো বাড়ানো ক্রস ডাচ ফুটবলার স্টেফানি ফন ডার গ্রাটের হাতে লাগে। ইন্টার মিলানের এই ডিফেন্ডার বক্সের বাইরে থাকলে তাঁর হাত ছিল বক্সের ভেতরে। ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে স্পেনকে পেনাল্টি দেন রেফারি। নির্ধারিত সময় শেষের মিনিট দশেক আগে পাওয়া এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা কালদেন্তে।
গোল শোধে মরিয়া হয়ে নেদারল্যান্ডেস আক্রমণে উঠে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ম্যাচ ১-১ করে ফেলে ডাচরা। ১৮ গজ দূর থেকে শট নেন স্টেফানি ফন ডার, শটটি স্পেন গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যায় জালে। দারুণ খেলা স্পেনকে নির্ধারিত সময় শেষ করতে হয় সমতায় থেকে।
এরপর অতিরিক্ত আধা ঘণ্টার খেলায় প্রথম ২০ মিনিটে লা রোহাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েই লড়ে ডাচরা। ১০৪ মিনিটে স্পেনের হারমোসোর হেড শেষ মুহূর্তে লাইনের কাছ থেকে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক ফন ডমসেলার। ১০৭ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের বিরেনস্টেইনের শট অল্পের জন্য দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
ম্যাচের ১১১মিনিটের সময় থ্রু বল ধরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পেনাল্টি এরিয়া থেকে বাঁ পায়ের শটে ডাফনে ফন ডমসেলারকে বোকা বানান এবং প্রথম বিশ্বকাপ গোল করে স্পেনের ইতিহাস গড়েন ১৯ বছর বয়সী পারালুয়েলো। তার গোলে আসরের প্রথম দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করলো স্পেন।