বাংলাদেশের লিটন কুমার দাস যেদিন জানলেন তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেই, সেদিনই বিপিএলে করলেন এক ঝোড়োগতির সেঞ্চুরি। ঠিক তার মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণায় স্থান না পেয়ে দু’দিন পরই ব্যাটে-বলে ঝড় তুললেন জেরাল্ট কোয়েটজি।
দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে পরপর দু ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেল জোবার্গ সুপার কিংস। গত ম্যাচে এমআই কেপটাউনের বিরুদ্ধে জয়ের পর মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হারিয়ে দিল ডার্বান সুপার জায়ান্টকে। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস এই ম্যাচে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও, দলের বাকিরা এই ম্যাচে বৈতরণী পার করে দিলেন।
ডার্বান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জোবার্গ সুপার কিংস করেছিল ৭ উইকেটে ১৬৯ রান। টস জিতে তাদের অধিনায়ক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও নিজেই মাত্র ১ রানে ফেরেন ডুপ্লেসি। এরপর আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়ে ১৯ বলে ২২ রানের ধীর গতির ইনিংস খেলেন। লিউস দু প্লয় করেন ৩২ বলে ৩৮ রান। ২২ বলে ২৬ রান করেন ইংরেজ তারকা জনি বেয়ারস্টো। লুবে করেন ১৭ ও অলরাউন্ডার ডনোভান ফেরেইরা করেন ২৬ রান। তবে ব্যাট হাতে শেষ দিকে নজর কাড়েন কোয়েটজি। মাত্র ৩ বলে ২টি ছয় মেরে করেন ১৩ রান।
১৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্রিটজকির উইকেট হারালেও ফার্স্ট ডাউনে এসে কুইন্টন ডি কক করেন ৫৫ রান। ১৭ রান করেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। ক্লাসেন করেন ১৭ বলে ২৯ রান। কিন্তু ব্যাটাররা পুরো ২০ ওভার খেলতেই পারলেন না জোবার্গের বোলারদের বৈচিত্রের দাপটে। দুটি করে উইকেট নিলেন কোয়েটজি, শামসি, ফেরেইরা। আর তাতেই মাত্র ১৮ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় ডার্বানের দলটি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন পেসার কোয়েটজি। বল হাতে তিনি তুলে নেন ডার্বানের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করা কুইন্টন ডি ককের উইকেট। এছাড়াও ফেরান নবিন উল হককে। ব্যাট হাতেও খেলেন দুরন্ত ক্যামিও।