• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ বাংলার যুবাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ বাংলার যুবাদের

সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশের যুবারা। প্রোটিয়াদের দেওয়া ২১১ রানের লক্ষ্য ১৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় টাইগাররা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ এই জিতে নিলো বাংলার যুবারা। 

প্রথম চার ম্যাচে দুদলের জয়ের পাল্লা ছিল সমানে সমান। তাইতো শেষ ম্যাচটা দাঁড়ায় অঘোষিত ফাইনাল। যেখানে শেষ হাসি বাংলার যুবাদের। দলের সবার সম্মিলিত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে সিরিজের ট্রফি নিজেদের ঘরেই রাখল বাংলাদেশ। ২-১ এই সিরিজে পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচ জিতে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্পই লিখল টাইগার যুবারা।

অসুস্থতার কারণে দলের নিয়মিত অধিনায়ক ছিল না শেষ দুই ম্যাচে। নিয়মিত অধিনায়কের জায়গায় নেতৃত্ব পাওয়া মাহফুজুর ভালোই সামাল দেন দলকে। দুই ম্যাচেই ব্যাটে-বলে দারুণ অবদান বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডারের।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বল হাতে ৩ উইকেটের পাশাপশি ব্যাট হাতে করে ১৫ রান। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন ৭৬ বলে ৬৮ রান করা আরিফুল ইসলাম। এছাড়া ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন আদিল বিন সিদ্দিক।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়া যুবারা ২০ রানের মধ্যে ৮ রান করা গিলবার্ট প্রিটোরিয়াস ও ৫ রান করা থিবি গ্যাজাইডের উইকেট হারায়। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনারকে ফেরান রিজান হোসেন। 

দলের স্কোর পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগে ফেরেন ৭ রান করা ওয়ারেন ফন জাইলও। চতুর্থ উইকেট জুটিতে চাপ সামাল দেন ডেভিড টিজার ও রিচার্ড সেলেৎসোয়ান। ৫২ রানের জুটিতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। ২৭ রান করা সেলেৎসোয়ানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আরিফুল৷ 

এরপর জুয়ান জেমসকে নিয়ে ৪৪ রানের আরেকটা স্বল্প রানের জুটি গড়েন টিজার। এর মাঝে অর্ধশতক করেন টিজার। যা সিরিজে তার দ্বিতীয় অর্ধশতক। 

তবে টিজার ব্যাট হাতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ ফেরান তাকে।  ৩ চারে ৮৯ বলে ৬৩ রান করে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে ৩২ রান করা জেমসকে ফেরান বাংলাদেশের আগের ম্যাচের নায়ক রাফিউজ্জামান রাফি। এই দুজনের বিদায়ের পর তেমন কেউই প্রোটিয়াদের ব্যাটিং হাল ধরতে পারেননি। শেষ দিকে লিয়াম অ্যাল্ডারের ৮ বলে ২০ রানের ইনিংসে দুইশ পেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মাহফুজুর। এ ছাড়া বর্ষণ, রিজান, রাফি ধরেন ২টি করে শিকার।
ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ যুবাদের দুই ওপেনার আদিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৭ ওভার শেষ হবার আগেই তুলে নেন ৪০ রান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ২১ বলে ১৩ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপরে উইকেটে থিতু হবার আগে দলীয় ৪৮ রানে ফেরেন ৩ রান করা রিজান হোসেন।

দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ যুবাদের জয়ের পথে রাখেন আদিল ও আরিফুল। তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার গড়েন ৮৭ রানের জুটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন আদিল। 

তবে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ভাঙে এই জুটি। ৫৮ রান করা আদিল শিকার হন জেমসের। তবে লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল পুল করতে ব্যর্থ হলে বল চলে যায় উইকেট কিপারের গ্লাভসে। আউট কল দেন আম্পায়ার। হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন আদিল। 

আদিল ফিরলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরিফুল। কিন্তু অপর প্রান্তে সঙ্গ দিতে পারেননি নাঈম আহমেদ, শিহাব জেমস, আশরাফুর জামানরা।

অপর প্রান্তে দলের আশা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন আরিফুলও। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন ৬৮ রানে। দুইশর আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে রাফির সঙ্গে ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে নিরাপদেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহফুজুর।

Link copied!