জর্জ লিন্ডের অলরাউন্ড নৈপূণ্য এবং ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানকে ১১ রানে হারিয়েছে। সেইসঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে।
শ্রীলঙ্কাকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পরদিনই পাকিস্তান সিরিজ শুরু করে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
মঙ্গলবার ডারবানের কিংসমেড স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৮৩ তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৭২ রান তুলতে পারে পাকিস্তান।
লিন্ডে ব্যাট হাতে মাত্র ২৪ বলে ৪৮ রান করেন এবং বল হাতে ২১ রানে নেন ৪টি উইকেট। ম্যাচসেরাও হন লিন্ডে।
দলের হারের দিনেও দুর্দান্ত এক রেকর্ড করেন পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচা করে তুলে নেন ৩ উইকেট। এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান বাঁহাতি পাক পেসার।
এর আগে ওয়ানডে (১১২) ও টেস্ট (১১৬) ক্রিকেটেও উইকেটের সেঞ্চুরি করেছেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই পৃথকভাবে ১০০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
১৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। দলের ইনিংস ওপেন করার পর শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন তিনি। ৬২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। দলের সাইম আইয়ুব ৩১ ও তায়েব তাহির ১৮ রান করেন। আর কেউ ডাবল ফিগারে পৌঁছতে পারেননি। লিন্ডের ৪ উইকেট ছাড়াও মাখাপা ২টি উইকেট নেন।
এরআগে, টস জিতে প্রথমে ব্যাটি করতে নামে প্রোটিয়ারা। দলের লিন্ডে ছাড়াও ডেভিড মিলার খেলেন এক বিধ্বংসী ইনিংস। মাত্র ৪০ বলে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কায় মিলার করেন ৮২ রান। মাখাপা করেন অপরাজিত ১২ রান।
পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ছাড়াও আবরার ৩টি এবং আব্বাস আফ্রিদি ২টি উইকেট পান।
১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ও ১৪ ডিসেম্বর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর, দুই দল তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে।