মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে জয় পেতে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ছিল মাত্র ১০৬ রান। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনেই ৩ উইকেট হারিয়ে তারা সেটা পূরণ করে। ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
দলের টনি ডি জর্জি ৪১, ট্রিস্টান স্টাবস অপরাজিত ৩০, মার্করাম ২০ এবং বেডিংহাম ১২ রান করলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। বাংলাদেশ দলের তাইজুল ইসলাম ৩৩ রানে একাই নেন উইকেট তিনটি। তিনি প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫টি উইকে।
এর আগে, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রশংসনীয় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে পারলেন না ডানহাতি টাইগার ব্যাটার। বহুল আকাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি পেলেন না তিনি। মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে গেছেন মিরাজ। চতুর্থ দিনের পঞ্চম ওভারে ১৯১ বলে ৯৭ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ হন তিনি।
মিরাজের উইকেটের মাধ্যমে শেষ হয় মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ৩০৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এতে জয়ের জন্য ১০৬ রানের লক্ষ্য পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।
শুরুতেই ভক্তদের হতাশ করেন নাইম হাসান। দিনের প্রথম ওভারেই আউট হন তিনি। কাগিসো রাবাদার ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন নাইম। ২৯ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে উইয়ান মুলদারের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তাইজুল ইসলাম (৭ বলে ৭)।
বাংলাদেশ ১০৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাটিংয়ে নামেন মিরাজ। এরপর প্রতিরক্ষার দেয়াল গড়ে তোলেন ডানহাতি ব্যাটার। সপ্তম উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি করেন মিরাজ। জাকের আলী ৫৮ রানে আউট হলেও টিকে থাকেন তিনি। পরবর্তী ব্যাটার নাইম সঙ্গে করেন ৩৪ রানের জুটি।
মিরাজের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ের কারণেই ৩০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বিধ্বংসী পেসার রাবাদার বলে আউট হয়ে সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় মিরাজকে।
৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা।