টানা আট ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করলেও এরপর থেকে যেন জিততেই ভুলে গেছে রংপুর রাইডার্স। একটা সময় যে দলটাকে মনে হচ্ছিল এবারের বিপিএলের অজেয়, তারাই হারল টানা চারটা ম্যাচ। পরপর তিন ম্যাচ হারার পর বৃহস্পতিবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও হারলেন নুরুল হাসান সোহানরা।
মিরপুরে স্টেডিয়ামে ২২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রানে আটকেছেন রংপুর। ৪৬ রানের এই জয়ে প্লে অফের আরও কাছে গেল খুলনা।
এই ম্যাচ জিততে হলে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড নতুন করে লিখতে হতো রংপুরকে। কিন্তু খুলনার মুশফিক হাসান -হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে রান পাহাড়ে চাপা পড়ল রংপুর। সৌম্য সরকারের একার লড়াইও ঠেকাতে পারল না হার।
রান তাড়ায় রংপুরের এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল থাকলেও সৌম্য লড়েছেন একাই। দলের বিপর্যয়ে খেলেছেন স্বভাবসূলভ স্টাইলে। ৩৩ বলে ছুঁয়েছেন এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। অবশ্য থেমেছেনও হাসানেরই দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে। ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংসটি সৌম্য সাজান ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কায়।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি রংপুর। দলীয় ১১ রানে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন ওপেনার তৌফিক তুষার। সাইফ হাসানও রান আউট হন মোহাম্মদ নওয়াজের সরাসরি থ্রোতে। ১৫ বলে ১৯ রান করে সৌম্যকে সঙ্গ দেয়া ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে ভরসা পেলেও, রংপুরের জন্য সেটা স্থায়ী হতে দেয়নি খুলনা। আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিক হাসানের বলে ক্যাচ নেন নাঈম শেখ।
রংপুরের ব্যাটিং অর্ডারে স্বস্তি ফেরান সৌম্য-মাহেদী জুটি। ২৩ বলে ৩৬ রানের জুটিতে মাহেদীর অবদানই বেশি; ১৪ বলে ২৭ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অবশ্য নওয়াজের বলে কভারে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হতাশায় ব্যাট ছুড়ে ফেলে। সেই ওভারেই এক বলের ব্যবধানে কোনো রান না করেই ফেরেন অধিনায়ক সোহান। দুই ছক্কায় ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ সাইফউদ্দিন, মুশফিকের তৃতীয় শিকার তিনি।
এরআগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাইম শেখের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে খুলনা ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করে। নাইম ৬২ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় অপরাজিত ১১০ রান করেন। এছাড়া উইলিয়াম বসিসতো ২১ বলে ৩৬, মিরাজ ১২ বলে ২১, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৫ বলে ২৯ রান করেন।
রংপুরের মেহেদি হাসান, ইফতেখার ও আকিফ জাবেদ ১টি করে উইকেট পান।
১২ ম্যাচে রংপুরের পয়েন্ট ১৬। ১১ ম্যাচে খুলনা মালিক হয়েছে ১০ পয়েন্টের। প্লে-অফে উঠতে হলে শেষ ম্যাচেও জিততে হবে খুলনাকে